এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফেরা

ট্রেনে-বাসে ভিড় থাকলেও দুর্ভোগে পড়তে হয়নি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৬ জুন, ২০২৪ at ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

গ্রামমুখো মানুষের জন্য অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। চট্টগ্রাম থেকে প্রতিটি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান।

টানা পাঁচদিনের ছুটি পেয়ে পরিবারপরিজনের সাথে ঈদ করতে শহর ছেড়েছে মানুষ। গতকাল বিকাল থেকে ফাঁকা হয়ে যায় নগরী। যারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যেতে পারেননি তারা গতকাল সকাল থেকে নগরী ছাড়তে শুরু করেন। বিকালের মধ্যে ট্রেনে ও বাসে যে যেভাবে পেরেছেন নগর ছেড়ে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন। তাই অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ও বাসস্টেশনে ছিল জনস্রোত। গতকাল সকালে ও বিকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের যাত্রীদের পাশাপাশি স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে গতকাল ঈদে বাড়ি গেছেন শত শত যাত্রী। তবে আগে একজনের আসনে অন্যজন বসে যাওয়ার মতো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি এবারের যাত্রীদের।

আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। গত বৃহস্পতিবার সরকারি অফিসআদালতে ছিল শেষ কর্ম দিবস। তাই গত দুদিন স্বচ্ছন্দ্যে সবাই বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।

গতকাল ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনে এবং ৪ ঈদ স্পেশাল ট্রেনে মোট ২০ হাজার যাত্রী নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাহিদার কারণে নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি অনেক ট্রেনে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। তবে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারছেন। সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কঙবাজার এঙপ্রেস ও পর্যটক এঙপ্রেস ছাড়া অন্য সকল ট্রেনে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এক জোড়া কঙবাজার স্পেশাল ট্রেন, এক জোড়া ময়মনসিংহগামী স্পেশাল এবং চাঁদপুরগামী দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেনও চালু হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের মতো গতকাল সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় ছিল কদমতলী আন্তঃজেলা বাসস্টেশন, গরিবউল্লাহ শাহ মাজার গেট এবং বিআরটিসি বাসস্টেশনে দূরপাল্লার বাসগুলোতেও।

আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির নেতারা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ২৫ থেকে ৩০টি জেলায় প্রায় ৫শ দূরপাল্লার বাস আসাযাওয়া করছে। ঈদে গতকালও প্রতিটি বাসে ভিড় ছিল বলে জানান বাসের ড্রাইভার ও হেলপাররা। তবে মহাসড়কে যানজট না থাকায় এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক ছিল বলে জানান যাত্রীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবা তো বটবৃক্ষের ছায়া
পরবর্তী নিবন্ধঈদের ছুটিতে নগরে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা