কক্সবাজার প্রতিনিধি
এবার কক্সবাজারের উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে মৃত ভেসে এলো ‘অ্যারিবদা’ বা একই সময়ে দলে দলে ডিম পাড়তে আসার জন্য বিখ্যাত অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা প্রজাতির সামুদ্রিক কাছিম।
গতকাল শুক্রবার সকালে সামুদ্রিক জোয়ারের সাথে ভেসে আসে কাছিমটি। খবর পেয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) বিজ্ঞানীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত কচ্ছপটির নমুনা সংগ্রহ করেন এবং মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে এনাটমিক্যাল ও মর্ফলোজিক্যাল পরীক্ষা করেন। অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙা প্রজাতির এ মা কাছিমটি সৈকতে ডিম পেড়ে ফিরে যাওয়ার পথে সাগরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আরো ৮/১০দিন আগে মারা যায় বলে ধারণা বোরি বিজ্ঞানীদের। এনিয়ে চলতি মৌসুমে কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ২১টি কাছিম ডিম পেড়ে সাগরে চলে যায় এবং ১১টি কাছিম মৃত অবস্থায় সৈকতে ভেসে আসে বলে জানান বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে সামুদ্রিক জোয়ারের সাথে একটি মৃত কাছিম ভেসে আসে। খবর পেয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) বিজ্ঞানীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত কচ্ছপটির নমুনা সংগ্রহ করেন এবং মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে এনাটমিক্যাল ও মর্ফলোজিক্যাল পরীক্ষা করেন। কাছিমটি অলিভ রিডলি জাতের মা কাছিম। এটির সামনের দুটি ফ্লিপার আঘাতপ্রাপ্ত ছিল।
কাছিমটি সৈকতে ডিম পেড়ে ফিরে যাওয়ার পথে সাগরে কোন ডুবো জালে আটকে অথবা জাহাজে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আরো ৮/১০দিন আগে মারা গেছে বলে মনে করেন তিনি। এরআগে সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, ইনানী ও সোনাদিয়া দ্বীপসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন সৈকতে মৃত কাছিম ভেসে আসে।
একই সৈকতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে একটি মা কাছিম ১২৫টি ডিম পেড়ে ফের সমুদ্রে চলে যায়। পরদিন বুধবার সকালে বোরির বিজ্ঞানীরা ডিমগুলো সংগ্রহ করে একই সৈকতে স্থাপিত হ্যাচারিতে স্থানান্তর করেন।