‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপস ব্যবহার করে এক দিন আগে সিএনজিতে ভুলক্রমে ফেলে যাওয়া ল্যাপটপ ও অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ব্যাগ উদ্ধার করে যাত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে সিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) পশ্চিম বিপ্লব কুমার পাল যাত্রী আলমগীর মাহমুদ চৌধুরীর হাতে হারানো ব্যাগটি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে আজাদীকে নিশ্চিত করেন।
টিআই বিপ্লব কুমার পাল জানান, যাত্রী আলমগীর মাহমুদ চৌধুরী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে সিএনজি টেক্সি থেকে নামার সময় ভুলবশত ল্যাপটপ ও ব্যাগ সিএনজিতে রেখে নেমে যান।
পরবর্তীতে তিনি ঐ দিনই ডবলমুরিং থানায় যান এবং উক্ত বিষয়ে থানার ডিউটি অফিসারকে অবহিত করলে তিনি একটি জিডি করতে বলেন।
ডিউটি অফিসারের পরামর্শে তিনি একটি হারানো জিডি করেন। টিআই বিপ্লব আরও জানান, তার (যাত্রী আলমগীর মাহমুদ চৌধুরী) এক বন্ধুর পরামর্শে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপসের কথা জানতে পেরে তিনি ট্রাফিক-পশ্চিম বিভাগ আগ্রাবাদ অফিসে এসে উক্ত ঘটনার বর্ণনা করেন।
উক্ত বিষয়ে অবগত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাফিক-পশ্চিম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সামীম কবীর, আমি ও সার্জেন্ট পুলক দেবগণ ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপসের সহায়তায় আমরা জানতে পারি ঐ যাত্রী যাত্রী সিএনজি টেক্সিতে (চট্ট মেট্রো-থ-১২-৮২৯৮) চেপে গন্তব্যে গিয়েছিলেন। টেক্সির চালক ছিলেন মো. সফি উল্লাহ।
তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করি। চালক জানান, তিনি যাত্রীর উক্ত ব্যাগটি পেয়েছেন এবং ব্যাগটি সিএনজির মালিক মো. সিরাজুল ইসলামের হেফাজতে রেখেছেন। পরবর্তীতে সিএনজির মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে মালিক সিএনজি টেক্সির চালকসহ আগ্রাবাদ ট্রাফিক-পশ্চিম অফিসে আসেন এবং যাত্রী আলমগীর মাহমুদ চৌধুরীর হারিয়ে যাওয়া ব্যাগসহ সকল মালামাল বুঝিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে ডিসি (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মেদ যাত্রীকে বলেন, গাড়িতে উঠার সময় যেন সকলেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করে রাখেন। গাড়ির মালিক, চালক এবং যাত্রীর জন্য এ অ্যাপস অত্যন্ত কার্যকরি ভূমিকা পালন করে বলেও তিনি জানান। ডিসি ট্রাফিক-পশ্চিম সকল গাড়ির মালিক ও চালকদের নিজের গাড়ি নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অনুরোধ করেন।