এবার সব সূচকেই উন্নতি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারীর ভয়াবহ দুর্যোগের মাঝে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় গতকাল প্রকাশিত ফলাফলে তাক লাগানো সফলতা দেখিয়েছে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারকার এসএসসিতে পাসের হার ৯১.১২ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৭৯১ জন। পাশের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিকেও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা সফলতা দেখিয়েছে। পাসের হারে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ছাত্র পাসের হার ৯০.১৪ শতাংশ। এই হার গত বছরের তুলনায় ৫.২১ শতাংশ বেশি। এবার ছাত্রী পাসের হার ৯১.৯৯ শতাংশ। এই হার গত বছরের তুলনায় ৭.৩৯ শতাংশ বেশি। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বমোট ১২ হাজার ৭৯১ জন। গত বছরের চেয়ে ৩ হাজার ৭৮৩ জন বেশি ছাত্রছাত্রী এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবার ৫ হাজার ৩৮২ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জন বেশি। এবার মোট ৭ হাজার ৪০৯ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৬৪৬ জন বেশি। গতকাল প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৬.৮২ শতাংশ, মানবিকে পাসের হার ৮৭.৪৭ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৯২ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ২৯১ জন, মানবিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ জন। চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাসের হার ৯৫.২৭ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৪.৯৩ শতাংশ বেশি। নগরী ব্যতীত চট্টগ্রাম জেলায় পাশের ৯১.০১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম জেলার বাইরে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৯০.৯৪ শতাংশ, রাঙামাটি জেলায় ৮৬.৮৩ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় ৮৪.১৯ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় ৯০.৮৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে। ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, পার্বত্য জেলাগুলোতেও এবছর অতীতের তুলনায় ফলাফলে উন্নতি হয়েছে। সবকয়টি জেলাতেই পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে। যার কারণে সার্বিকভাবে চট্টগ্রামের ফলাফল ভালো হয়েছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল আলীম। তিনি বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোর ফল সার্বিকভাবে চট্টগ্রামের ফলাফলে নেতিবাচক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এসব অঞ্চল তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা এলাকা হিসেবে পরিচিত। যার কারণে প্রায় সময়ই এ অঞ্চলগুলোর ফল দুর্বল থাকে। তবে এবার ফলাফলের সকল সূচকেই পিছিয়ে থাকা এ অঞ্চলগুলো অনেকটা উন্নতি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে সার্বিক ফলাফলে। এটি ভাল একটি দিক বলে মন্তব্য করেন শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল আলীম। অন্যদিকে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে বলে অভিমত বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোববার পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করা যাবে
পরবর্তী নিবন্ধই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে কাল