মানহানির অভিযোগে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা মামলা করেছেন অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার সহপ্রযোজক রহমত উল্লাহ।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দণ্ডবিধি ৪৯৯, ৫০০ ও ৫০১ ধারায় মামলাটি করা হয় বলে গ্লিটজকে জানিয়েছেন রহমত উল্লাহর আইনজীবী মো. তবারক হোসেন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, শাকিব খান বিভিন্ন সময় আমার মক্কেলের নামে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা তাকে উকিল নোটিস দিয়েছি। তিনি কোনো জবাব দেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করি। আদালাত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিব খানের আইনজীবী খাইরুল হাসান বলেন, রহমত উল্লাহর আইনজীবী আদালতে মামলা করেছেন। এখন পিবিআই তদন্ত করবে। তদন্তে দোষী হলে বিজ্ঞ আদালত সমন জারি করবেন। তখন আমরা জামিনের জন্য আবেদন করে মামলার মোকাবেলা করব।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময় শাকিব খান অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার সহপ্রযোজক রহমত উল্লাহকে ‘ভুয়া প্রযোজক নামধারী, প্রতারক রহমতুল্লা, এই যে বাটপার রহমতুল্লা, একজন বাটপার, একজন প্রতারক রহমতুল্লা’ ইত্যাদি আখ্যা দিয়েছেন; তিনি ‘গোটা চলচ্চিত্রের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতারণা করেছে, প্রযোজক না হয়েও আজেবাজে মিথ্যা বলেছেন এবং প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছেন’ ইত্যাদি ‘মানহানিকর’ বক্তব্য দিয়েছেন।
একই অভিযোগে ২১ মার্চ শাকিব খানের বিরুদ্ধে উকিল নোটিস পাঠান রহমত উল্লাহর আইনজীবী। সে সময় শাকিব খান উকিল নোটিস পাননি বলে গ্লিটজকে জানিয়েছিলেন। ওই নোটিস পাঠানোর দুদিন পর ২৩ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ‘চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন শাকিব খান। মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব সেদিন মামলা গ্রহণ করে বিবাদী রহমত উল্লাহকে ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন। চার দিন পর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে গিয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেন শাকিব খান।
বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ৬ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। জবানবন্দিতে শাকিব খান সেদিন বলেন, রহমত উল্লাহ টেলিভিশনে আমার নামে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি হঠাৎ আসেন, হঠাৎ বক্তব্য দিয়ে পালিয়ে যান। তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে আমি দুবার পালিয়ে এসেছি। অথচ অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমার নামে কোনো মামলাও হয়নি।