সীমিত পরিসরে লকডাউনের প্রথম দিনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসগামী যাত্রীদের। সড়কজুড়ে আধিক্য রয়েছে রিকশা ও প্রাইভেটকারের।
আজ সোমবার (২৮ জুন) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় এমন চিত্র।
দেখা যায়, বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন অফিসগামী যাত্রীরা। কোনো গাড়ি না থাকায় অনেকে রিকশায় ছুটছেন গন্তব্যে। বাংলানিউজ
বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিজীবী সানজিদা আক্তার বলেন, “সরকার ক্ষণে ক্ষণে মত পরিবর্তন করে। একবার লকডাউন, আবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা দিয়ে মানুষকে কষ্টের মধ্যে ফেলেছে। গণপরিবহন বন্ধ কিন্তু অফিস খোলা। মানুষ কীভাবে যাতায়াত করবে? আবার বলা হচ্ছে, যাদের অফিস খোলা থাকবে তারা অফিসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করবেন। যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন নেই তারা কীভাবে যাবে সেই চিন্তা কেউ করে না। সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে রিকশায় যাচ্ছি।”
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জয়নাল আবেদিন নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, “এই লকডাউনের যন্ত্রণায় আর পারছি না। চলাচলে বিধি-নিষেধ দিয়ে অফিস খোলা রাখা হয়েছে। তাহলে কারা ঘরে বসে থাকবে? ৪০ টাকার রিকশা ভাড়া এখন দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা।”
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, “জনসচেতনতা তৈরিতে মাইকিং করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি-না, তদারকিতে মাঠে থাকবে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।”