চট্টগ্রাম কাস্টমসে গার্মেন্টস ফেব্রিক্স ও সিএনজি ট্যাক্সিসহ ৬৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত রোববার থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৬৩ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে এসিড, টেঙটাইল, কেমিক্যাল, ড্রাগন ফ্রুট, হ্যাংগার, গার্মেন্টস ফেব্রিক্স, জিংক অক্সাইড, সেলফ অ্যাডহেসিভ টেপ, পেপার ট্যাগ, ল্যাবরেটরি পণ্য, কটন হ্যান্ড কভার, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, কটন ড্রকর্ড, পুস্তক, স্ট্যান্ড ও ওয়াল ফ্যান, জুস, সাইক্লোহেঙানোন, স্যানিটাইজার, থ্রি হুইলার সিএনজি অটোরিঙা, ফোর হুইলার ইলেকট্রিক যানবাহন, বাচ্চাদের সাইকেল, মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ, থান কাপড়, ফুটওয়্যার, টাইলস, ইলেকট্রিক মেশিনারী, কিউমিন সিড, ক্যাপিটাল মেশিনারী, লুব্রিকেটিং অয়েল, পিপি আইলেট ও পিভিসি ব্যানার।
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) কার্যালয় থেকেও মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। নিলামের দরপত্র ২৮ অক্টোবর বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগরী ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) কার্যালয়ে। একইদিন বেলা আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাঙ খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকুলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. আলী রেজা হায়দার আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, নিলাম আমাদের রুটিন কার্যক্রমের একটি অংশ। নিলাম ছাড়াও আমরা নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের কাজও চালিয়ে যাচ্ছি।