‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার সহ–প্রযোজক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তিনি এ মামলার আবেদন করেন বলে তার আইনজীবী আবু বকর ফরহাদ জানান। বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ৬ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে গত ২৩ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গিয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ‘চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন শাকিব খান। সেদিন তার জবানবন্দি শুনে মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব মামলা গ্রহণ করে বিবাদী রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন। শাকিব খানের আইনজীবী অ্যাডভকেট মো. খাইরুল হাসান সেদিনই বলেছিলেন, তারা আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সেই মামলা করতে গতকাল দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক জুলফিকার হায়াতের এজলাসে উপস্থিত হন শাকিব খান। এরপর জবানবন্দি দিতে কাঠগড়ায় ওঠেন। জবানবন্দিতে শাকিব খান বলেন, রহমত উল্লাহ টেলিভিশনে আমার নামে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি হঠাৎ আসেন, হঠাৎ বক্তব্য দিয়ে পালিয়ে যান। তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে আমি দুবার পালিয়ে এসেছি। অথচ অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমার নামে কোনো মামলাও হয়নি।
পরে শাকিব খানের আইনজীবী আবু বকর ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, টেলিভিশনে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় রহমত উল্লাহ বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আশিকুর রহমান। এতে শাকিবের নায়িকা সিবা আলী খান। পাঁচ বছর আগে কাজ শুরু হলেও সিনেমাটি এখনও মুক্তি পায়নি। গত ১৫ মার্চ দেশে এসে ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতি, প্রযোজক সমিতি ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। তাতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রযোজকের আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করার পাশাপাশি বলা হয়, ২০১৭ সালে সিনেমার শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে এক নারী সহপ্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ও করেন শাকিব খান, যা নিয়ে মামলাও হয়। তবে রহমত উল্লাহকে ‘প্রতারক–বাটপার’ আখ্যায়িত করে এই চিত্রনায়ক বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এরপর শাকিব খানের ওই বক্তব্য ‘মানহানিরকর’ দাবি করে সেজন্য ক্ষমা চাইতে এ চিত্রনায়ককে উকিল পাঠান রহমত উল্লাহ। উকিল নোটিসের বিষয়টি সামনে আসার পরদিনই রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ‘চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি’ দেওয়ার মামলা করেন শাকিব খান।