এবার চবির বিজ্ঞান অনুষদের পাশে ১১ ফুট লম্বা অজগর

উদ্ধার করে জঙ্গলে অবমুক্ত

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১১ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন হিল বটম কলোনির পাশ থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। পরে অজগরটি পাশের জঙ্গলে জনমানবহীন স্থানে অবমুক্ত করা হয়। এর আগে গত ১০ মে প্রায় ১২ ফুট লম্বা এবং ২০ কেজি ওজনের একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয় বিজ্ঞান অনুষদের পাশ থেকে। গত এক বছরে ক্যাম্পাসের আশপাশ থেকে ছোটবড় অন্তত ১০টি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে গভীর জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম সাপটি ধরেন এবং পরে অবমুক্ত করেন। তিনি বলেন, এটি বার্মিজ পাইথন প্রজাতির সাপ। লম্বায় ১১ ফুট ও ওজন প্রায় ১৩ কেজি। সাপটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছে বলে ধারণা করছি। আমরা সাপটি উদ্ধার করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছি। জানা যায়, দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। এরা সহজে মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা সাধারণত ইঁদুর, মুরগি, শূকর, শিয়ালসহ ছোট থেকে বড় আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ প্রাণী ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এটি নিজের আকারের চেয়েও বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।

চবিতে অজগর সাপ ধরা পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ রাখার একটি কেন্দ্র আছে। গত দশ বছরে অন্তত ২০টি অজগর সাপ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন চবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, বার্মিজ অজগর সাধারণ অজগর বা ময়াল সাপের চেয়ে তুলনামূলক ভারী। সুন্দরবনে এই প্রজাতির অজগরের আধিক্য বেশি। নির্বিষ এই সাপটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা নড়াচড়া করে না। এই প্রজাতিটি একাকি বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাঁধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুন এদের প্রজননকাল। সাপ লোকালয়ে আসা নিয়ে তিনি বলেন, পাহাড় ও বন উজাড় হওয়ার কারণে সাপের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে তাদের খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই খাবারের সন্ধানে সাপগুলো লোকালয়ে আসছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফরহাদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গাছের চারা বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের আহ্বান