সরকার পরিবর্তনের পর নিরাপত্তার কারণে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের প্রায় কাউন্সিলর গত এক মাস ধরে অফিস করছেন না। অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে নগরীতে আগস্ট মাসের টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম সময় মতো চালু করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে টিসিবির আগস্ট মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার ওয়ার্ড পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন–সমাজসেবা কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব, থানার একজন এসআই, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা। এবারও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ২ লাখ ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের মানুষ টিসিবির এসব পণ্য পাচ্ছেন।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিস প্রধান শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, নগরীতে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে আগস্ট মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে এক জন সমাজসেবা কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব, থানার একজন এসআই, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর এবং সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন। এখানে একজন না থাকলে যেন আর একজন থাকতে পারেন–এ জন্য ৫–৬ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগস্ট মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলতি মাসের ১২ তারিখ শেষ হবে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি শুরু হবে। এবার ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন দেয়া হচ্ছে। মোট প্যাকেজ ৪৭০ টাকা। তিনি জানান, চট্টগ্রামে মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে টিসিবির পণ্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ২ লাখ ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের মানুষ টিসিবির এসব পণ্য পাবেন।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বরাদ্দের ভিত্তিতে মহানগরীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এলাকাভিত্তিক তালিকা তৈরি করে যাদের কার্ড দিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই টিসিবির পণ্য পেয়ে থাকেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তালিকা অনুযায়ী ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারগুলো উপজেলা পর্যায়ে টিসিবির পণ্য পেয়ে আসছেন।