এবার চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ১৭৫ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এর মধ্যে সর্বজনীন প্রতিমা পূজা উদযাপিত হবে ১ হাজার ৬৫১টি মণ্ডপে এবং ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হবে ৫২৪টি মণ্ডপে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দুর্গোৎসবে চার দিনের সরকারি ছুটি, প্রতি উপজেলায় ১টি করে মডেল মন্দির নির্মাণসহ সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানান। এর মধ্যে রয়েছে চন্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমের সংস্কার ও সড়কের উন্নয়ন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়নে জটিলতার নিরসন এবং রানি রাসমণি বারুণী স্নানঘাট তথা সমুদ্রতীর্থ সংরক্ষণে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ।
তিনি বলেন, সামাজিক সমপ্রীতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে সামপ্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। তিনি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন পরিহারের আহ্বান জানান। এবার পূজা পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা পূজা পরিষদের জেলা কন্ট্রোল রুম ও ৩টি পর্যবেক্ষণ টিম থাকবে। কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত বলেন, সরকারি অর্থায়নে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মেধস আশ্রম সড়কে কার্পেটিং হচ্ছে। দুর্গাপূজা বাঙালির উৎসব। তাই চার দিন ছুটির দাবি জানাই। বর্তমানে একদিন ছুটি আছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কিছু পূজামণ্ডপে প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকবে। আমরা মনে করি প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্ষম। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ালে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ।