৮৪ বছরের খ্রিস্টান মহিলা জোন কেনটোফার, স্বামী লিওনেল জি কেনটোফার। থাকেন কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে। চট্টগ্রাম এসেছিলেন জামাল খান মেয়ের বাড়িতে। করোনায় আটকা পড়েন দীর্ঘদিন। একপর্যায়ে নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ইমপেরিয়াল হাসপাতালে। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি এ হাসপাতালের কোভিড আইসিউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর তাঁর এক আত্মীয় সহায়তা চেয়ে ফোন করে গাউসিয়া কমিটির দাফন-সৎকার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারকে। তিনি সাথে সাথে পুরুষ ও মহিলা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে তাঁর সৎকার প্রক্রিয়া শুরু করেন। গাউসিয়া কমিটি চান্দগাঁও মহিলা টিমের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে গোসল দেন। এরপর খ্রিস্টান রীতি অনুযায়ী বিয়ের পোশাক ও অলংকার দিয়ে সাজিয়ে দেন। গতকাল ২ মে সকাল ৯ টায় তাঁকে জামাল খানস্থ খ্রিস্টান কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। গতকাল খ্রিস্টান মহিলা ১জন, পুলিশের সহায়তায় অজ্ঞাত লাশ ১টিসহ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৯জনের লাশ দাফন ও সৎকার করা হয় বলে দাফন-কাফন কমৃসূচির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. মোছাহেব উদ্দিন জানান।
এ করোনাকালে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ ১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২০৪৬ জন ও সারাদেশে ২৫২১ জনকে দাফন ও সৎকার সহায়তা দিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন ৩০ জন হিন্দু, ৩ জন বৌদ্ধ ও ১ জন খ্রিস্টান।এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ৩৫ জন, অজ্ঞাত লাশ ছিল ১৩ জন। অক্সিজেন সেবা দেয়া হয় ১৫৪১৭ জনকে।অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয়া হয় ২৮৯০ জনকে। ভ্রাম্যমাণ কোভিড টেস্ট সুবিধা পাচ্ছেন দৈনিক ৩০ জন।