এবার ক্ষান্ত দাও…

৬০০ শিশু জন্মদানে সহায়তার পর আদালতের নির্দেশ

| রবিবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ at ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ

অন্তত ৬০০ শিশুকে জন্মদানে সহায়তা করেছে নেদারল্যান্ডসের শুক্রাণুদাতা জোনাথন; তবে এতজনকে শুক্রাণু দানের বৈধতা দেশটির আইনে নেই। ফলে আর কখনও কোনো সন্তানের জন্মদানে সহায়তা না করতে তাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের এ নির্দেশ না মানলে ৪১ বছরের এই যুবককে অন্তত এক লাখ ইউরো জরিমানা গুনতে হতে পারে।

বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে ২০১৭ সালে ফার্টাইলিটি ক্লিনিকে স্পার্ম দানে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল; তখনই জোনাথন ১০০ এর বেশি শিশুর ‘বায়োলজিকাল ফাদার’। ডাচ ক্লিনিকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন দাতা সর্বোচ্চ ১২টি পরিবারে ২৫টির বেশি শিশুর জন্মে স্পার্ম সহায়তা দিতে পারে। একই ব্যক্তি এর বেশি স্পার্ম দান করতে থাকলে ওই শিশুদের মধ্যে ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক’ গড়ে ওঠতে পারে; যা পরবর্তীতে একই পরিবারের মধ্যে বিয়ে, এমনকি পরবর্তী সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। খবর বিডিনিউজের।

সম্প্রতি স্পার্মদাতা শিশুদের অধিকার রক্ষা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এক মায়ের অভিযোগে জোনাথনকে আদালতে তোলা হয়। বিবিসি জানায়, শুধু ডাচ ক্লিনিকেই তার ১০০ সন্তান রয়েছে; এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, জোনাথন ২০০৭ সালে শুক্রাণু দান শুরু করার পর থেকে ৫৫০ থেকে ৬০০ সন্তানের জন্মে সহায়তা করেছেন। আদালতের মুখপাত্র গের্টমার্ক স্মেল্ট বলেছেন, আগের নিষেধাজ্ঞা না মেনে জোনাথন বিদেশে এবং অনলাইনে শুক্রাণু দান করতে শুরু করেন। এভাবে স্পার্ম দান করলে তাদের মধ্যে আত্মীয়তার নেটওয়ার্ক অনেক বড় হতে থাকবে। ফলে তাদের শিশুরা একটি বিশাল আত্মীয়তার নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা তারা কখনোই চায়নি। এমনকি ডেনমার্কের একটি ক্লিনিকেও সে স্পার্ম দান করে; যা বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।

হেগের ওই আদালত আরও বলছে, অতীতেও তিনি অনেককে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিয়ে স্পার্ম দান করেছেন। শত শত নারীকে বিভ্রান্ত করে এই ব্যক্তি স্পার্ম দান করেছে; ফলে আদালত সব ক্লিনিকের তালিকা এবং সেখানে তার শুক্রাণু ধ্বংস করার নির্দেশ দিতে বলেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসর্বনাশ ডাকছে দক্ষিণ কোরিয়া
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ আফ্রিকায় পা রাখলেই গ্রেপ্তার হবেন পুতিন!