এশিয়া কাপের ব্যর্থ মিশন শেষ। ক্রিকেটাররা রয়েছেন ছুটিতে। কোচিং স্টাফরা গেছেন নিজ নিজ দেশে ছুটি কাটাতে। তবে খুব বেশি দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ নেই কারো। কারন সামনে আরো দুটি কঠিন পরীক্ষা বাংলাদেশ দলের। অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ। যেখানে অপর দলটি পাকিস্তান। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুটি পরীক্ষাই ভিন্ন কন্ডিশন এবং ভিন্ন উইকেটে। তাই টাইগাররা নিজেদের প্রস্তুতিতেও আনছে ভিন্নতা। এবার চিরাচরিত টার্ফে নয়, প্রস্তুতি চলবে কংক্রিকেট উইকেটে। আর তাই মিরপুরের একাডেমি মাঠের উইকেটও বদলে যাচ্ছে। নতুন করে কংক্রিকেটের উইকেট বসানো হচ্ছে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছে অনুযায়ী মিরপুরে বসছে এ ধরনের উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে খেলতে গিয়ে নিয়মিতই বিপদে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এসব দেশের উইকেটে মানিয়ে নিতে পারছেন না আমাদের ব্যাটাররা। এ কারণেই ঘরের মাঠে নিজেদের কন্ডিশনে বিদেশের বাউন্সি উইকেটের অনুশীলন সারতে চায় টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। গতকাল মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমকে ক্রিকেট অপরাশেন্সের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস জানান সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আরব আমিরাতেও আমরা দেখেছি উইকেট ফ্ল্যাট থাকে। বল সুন্দরভাবে ব্যাটে আসে। এই কংক্রিকেটর উইকেট সে সব দেশের উইকেটের স্বাদ দেবে। পরবর্তীতে দুটা অ্যাস্ট্রোটার্ফ উইকেট করারও পরিকল্পনা আছে। যেটা ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশের সঙ্গে মিল থাকবে। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে দুইটা-তিনটা কংক্রিট উইকেটের কথা বলা হয়। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা বিভিন্ন দেশে যখন বৃষ্টির মৌসুম থাকে তখন তারা কিন্তু কংক্রিটের উইকেটে অনুশীলন করে। আমরা কিন্তু আমাদের জাতীয় দলের বেশ কয়েক বছর ধরে অনুশীলনে দেখছি খেলোয়াড়রা মার্বেল স্লেভের ওপর ব্যাটিং করে। এতে বলের গতি বেশি থাকে এবং ভালো বাউন্সার পাওয়া যায়। কংক্রিকেটের উইকেট ব্যাটার ও বোলার দুই বিভাগের কাজেই আসবে বলে বিশ্বাস নাফিসের। তিনি বলেণ আমরা ৫০ শতাংশ ম্যাচ দেশে খেলি। আর ৫০ শতাংশ খেলি দেশের বাইরে। সেখানে আমরা দেখি বেশিরভাগ উইকেটে পেস এবং বাউন্স থাকে। তাই এরকম পেস বাউন্সটা আয়ত্ব করার জন্যই এই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা হচ্ছে। আশা করছি সামনের টুর্নামেন্ট গুলোতে এর সুফল পাওয়া যাবে।