চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য নিয়োগের পর এবার উপ–উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মানববন্ধনে এই আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের উপাচার্য পেয়েছি। সেই সাথে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদ উপ–উপাচার্য পদে নিয়োগে দেরি হওয়ার কারণে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে গেছে। সেই সাথে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের জন্যও আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এখনো আমাদের ২০২২ সালের মাস্টার্স শেষ করতে পারিনি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ, অতি দ্রুত আমাদের দুজন উপ–উপাচার্য (প্রশাসনিক ও একাডেমিক) নিয়োগ দিন। যাতে তারা উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, আমাদের উপাচার্য বলেছেন, তিনি সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবেন। আমরা তার এই কথাকে সাধুবাদ জানাই। আমরাও চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হোক।
গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন চবি উপাচার্য। এরপর দুই উপ–উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্টবৃন্দ ও ছাত্র উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চবির ২০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে।