সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ঠেকানোর উদ্দেশ্যে নতুন এক আইন প্রস্তাব করায় অস্ট্রেলীয় সরকারকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যাক্তি ইলন মাস্ক। অস্ট্রেলীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত আইনে ভুল তথ্য ঠেকানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানির বার্ষিক আয়ের পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করার শর্ত রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ভুল বা ভুয়া তথ্য অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার পাশাপাশি আমাদের গণতন্ত্র, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি, বলেন দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী মিশেল রোলান্ড। অবস্থায় কিছু না করে বসে থাকার সুযোগ নেই। প্রস্তাবিত আইনে ফেসবুক, এক্স ও টিকটকের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিকে নিজ নিজ প্ল্যাটফর্মে ক্ষতিকর ভুল তথ্য ছড়ানোর দায়ভার নেওয়ার শর্তও রয়েছে।
অস্ট্রেলীয় সরকার বলেছে, এই বিলের লক্ষ্য হল, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ভুল তথ্য ঠেকানোর বিষয়ে কতোটা স্বচ্ছ, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। প্রস্তাবিত আইন নিয়ে প্রকাশিত খবরের প্রতিক্রিয়ায় এঙ–এর মালিক মাস্ক স্রেফ একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা হল ফ্যাসিস্ট। এদিকে, তার এমন মন্তব্যের পরপরই তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অস্ট্রেলীয় রাজনীতিবিদরা। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার স্টিফেন জোনস এবিসি নিউজকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নিজ সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে নিজস্ব আইন প্রণয়নের অধিকার আছে। এটা একেবারে যাচ্ছেতাই কথাবার্তা, মাস্কের মন্তব্য সম্পর্কে বলেন তিনি। অস্ট্রেলীয় নাগরিকদেরকে স্ক্যামার, অপরাধী থেকে নিরাপদ রাখবে, এমন আইন তৈরি করা আমাদের অধিকার।
আমি বুঝি না, ইলন মাস্ক বা অন্য কেউ বাক স্বাধীনতার নামে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভুয়া কনটেন্ট প্রকাশ করাকে কেন স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে নেন? ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের দায় সাধারণ আইন ব্যবসায়িক খাতের সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যার ব্যতিক্রম কেবল ইন্টারনেট। এটা খুবই অযৌক্তিক। এ বিষয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক্স–এর মন্তব্য জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।