শিরোপার খুব কাছে গিয়েও অল্পের জন্য মেয়েদের অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল হেরে হয় স্বপ্নভঙ্গ। তবে সেই টুর্নামেন্টে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সামনের অনূর্ধ্ব–১৯ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভালো কিছুর আশা নির্বাচক সজল আহমেদ চৌধুরীর। দলের মিডল–অর্ডার ছন্দে ফিরলে আবার ফাইনাল খেলার লক্ষ্য তার। মালয়েশিয়ায় আগামী ১৮ জানুয়ারি শুরু হবে মেয়েদের অনূর্ধ্ব–১৯ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা সফর ও বিশ্বকাপের জন্য গত বৃহস্পতিবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ভিডিওবার্তায় দলের ভারসাম্যে সন্তুষ্টির কথা বলেছেন নির্বাচক সজল। তিনি বলেণ আমাদের দলে সবগুলো দিকই বিবেচনা করেছি। ব্যাটিং, বোলিংয়ে বৈচিত্র আছে। বাঁহাতি স্পিনার, ফাস্ট বোলার, লেগ স্পিনার আছে। ভালো অলরাউন্ডার আছে। সব কিছু বিবেচনা করেই দলটা গঠন করা হয়েছে। সবশেষ এশিয়া কাপের দল থেকে পরিবর্তন আনা হয়েছে দুইটি। অরভিন তানি ও মেহেরুন নেসার জায়গায় এসেছে লাকি খাতুন ও সাদিয়া ইসলাম।আট দলের এশিয়া কাপের আসরে ভারতের সঙ্গে শুধু পারেনি বাংলাদেশ। সুপার সিক্সের পর ফাইনালেও তারা হেরেছে একই প্রতিপক্ষের কাছে। তবে সব মিলিয়ে এশিয়া কাপে ভালো পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী। বিশ্বকাপের আগে আমরা শ্রীলঙ্কা যাচ্ছি। ওখানে চারটা প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ আছে। আশা রাখি এই ম্যাচগুলো বিশ্বকাপের আগে মেয়েদের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে। একই কন্ডিশনে যেহেতু খেলা, ওরা সেখানে ভালো করবে বলে বিশ্বাস করি। এশিয়া কাপে দলের হয়ে সিংহভাগ রান করেন টপ–অর্ডারের ফাহমিদা ছোঁয়া, মোসাম্মৎ ঈভা। এছাড়া নিচের দিকে সাদিয়া আক্তারের ব্যাট থেকেও আসে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। কিন্তু মিডল–অর্ডার থেকে বেশি রান পায়নি বাংলাদেশ। সামনের বিশ্ব আসরে এই একটি জায়গা নিয়েই শুধু চিন্তা নির্বাচকের। মিডল–অর্ডার ব্যাটাররা ছন্দে ফিরলে বিশ্বকাপেও ফাইনাল খেলার আশা সজলের।
তিনি জানান আমাদের দলের সবাই এঙ ফ্যাক্টর। পেস বোলিং ইউনিটটা খুব ভালো করছে। আমাদের বৈচিত্র আছে। লেগ স্পিনার আছে। খুব ভালো পারফর্ম করছে। টপ–অর্ডার ব্যাটাররা রান করছে। মিডল অর্ডার যদি আরেকটু ছন্দে আসে, তাহলে সব দিক বিবেচনা করলে অবশ্যই আমরা ফাইনাল খেলার প্রত্যাশা করি। ১৬ দলের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আছে ‘ডি’ গ্রুপে। আগামী ১৮ জানুয়ারি নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান। ২০ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া ও ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে তারা। এর আগে ১৩ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা ও ১৫ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সুমাইয়া আক্তারের নেতৃত্বাধীন দল।