এবার অত্যাধুনিক বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

| শনিবার , ২ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

উত্তর কোরিয়া এবার পরীক্ষামূলকভাবে একটি নতুন ও অত্যাধুনিক বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার তারা এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছে, এ নিয়ে এক মাসেই তারা চারটি ভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল বলে জানিয়েছে বিবিসি। নতুন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবির কয়েকদিন পর পিয়ংইয়ং এ বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল। খবর বিডিনিউজের।
সেপ্টেম্বরেই তারা নতুন ধরনের একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। তাদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম বলেই ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ‘অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার বড় ধরনের শঙ্কা সৃষ্টি করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। পিয়ংইয়ং বলছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আত্মরক্ষামূলক। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতারও অভিযোগ করছে তারা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পিয়ংইয়ংয়ের যে অস্ত্র কর্মসূচির গতি কমিয়ে আনার কোনো ধরনের আগ্রহ নেই, নতুন এসব পরীক্ষা তাই দেখাচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ বলেছে, তাদের নতুন বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রটি যুদ্ধে ‘দুর্দান্ত কর্মক্ষমতা’ দেখিয়েছি, এই ক্ষেপণাস্ত্রে ‘নতুন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি’ সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ফের হটলাইন স্থাপনে উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উনের আগ্রহ প্রকাশের একদিন পরই এ বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হল। কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কূটনীতির কথা বলে তলে তলে বৈরি কর্মকাণ্ড’ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা বলছেৃ কিন্তু তাদের এসব কথা আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে ধোঁকা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র তার বৈরি কর্মকাণ্ড আড়াল করার চেষ্টা করছে, বলেছেন তিনি। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, কিম এবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দেয়াল তুলে দিতে চাইছেন। এজন্যই দক্ষিণের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছেন, আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ছিন্নের। এখন থেকে সিউলের মাধ্যমে তারা নিষেধাজ্ঞা উঠাতে ওয়াশিংটনের ওপর চাপ প্রয়োগের পন্থাও অবলম্বন করতে পারে, ধারণা অনেকের। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে উত্তর কোরিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। দেশটি তাদের সবচেয়ে বড় মিত্র চীনের সঙ্গে বেশিরভাগ ব্যবসা বাণিজ্যও বন্ধ রেখেছে। দেশটির অর্থনীতি এখন ভয়াবহ সংকটকাল অতিক্রম করছে বলে মনে করা হচ্ছে; খাদ্য সংকট পৌঁছেছে উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংসদেই নিজের মাথা উড়িয়ে দিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার
পরবর্তী নিবন্ধনির্মাতার বিরুদ্ধে অর্ষার অভিযোগ