এবারও মিউনিসিপ্যাল স্কুলের অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন

চসিকের সভায় সম্মিলিত সিদ্ধান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসেও মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন চট্টগ্রামের মানুষ। এই নিয়ে তৃতীয় বার অস্থায়ী শহীদ মিনারে মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানাবেন চট্টগ্রামের মানুষ।

গতকাল সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার

প্রতিনিধিবৃন্দ শহিদ মিনার প্রসঙ্গে তাদের তাদের মতামত তুলে ধরার পর সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের দৃশ্যমান না হওয়া এবং সিঁড়ি সঙ্কীর্ণ ও বয়োবৃদ্ধদের উপযোগী না হওয়া নিয়ে অনেকের অভিযোগ আছে। এ বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় তা বুঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা একটি কমিটি করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। কমিটির মতামত ও সভায় উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হল এইবারের শহীদ দিবসে গতবারের মতো এবারও মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করব।

সভায় বিশিষ্টজনরা বলেন, মেয়র রেজাউল যেভাবে দৃঢ়তার সাথে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের কাছ থেকে ফুটপাত উদ্ধার করেছেন সেভাবে চট্টগ্রামের শহীদ মিনার নিয়ে নাগরিকদের যে দাবি তা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিবেন বলে আমাদের আশা।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দুনন্দন দত্ত, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার মো. নুরউদ্দিন, কালাম চৌধুরী। এছাড়া, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাসিনা আক্তার, কলামিস্ট ড. মাসুম চৌধুরী, নাট্যজন সুচরিত দাশ খোকন, সমাজসেবী দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, অলক ঘোষ, রাশেদ হাসান, প্রণব চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনচট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, বর্তমান সভাপতি সালাহ উদ্দিন মো. রেজা, সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে কোনো স্মৃতিসৌধ নেই। তাই ২১ ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ জাতীয় দিবসগুলো চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পালন করা হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পালন করা হয় বিজয় দিবসের কর্মূসূচি। এরপর একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর পুরনো কাঠামোটা ভাঙার কাজ শুরু হয়। একইসঙ্গে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনার করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর নবনির্মিত শহীদ মিনারে বিজয় দিবস উদযাপন করা নিয়ে গত একই বছরে ১৮ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর দুটি মতবিনিময় করেন মেয়র। এতে সংস্কৃতিকর্মীরা নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ছাড়া এ শহীদ মিনারে ফুল দিতে আপত্তি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ভারতের
পরবর্তী নিবন্ধনিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমল ১৫ টাকা