এফবিসিসিআই ও চিটাগং চেম্বারের পরিচালনা পরিষদ অবিলম্বে বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়ে বলেন, চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম.এ. লতিফ ২০০৮ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন থেকেই তিনি চেম্বারকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে থাকেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে তার ভাই পরিচালক জহুরুল আলমের মাধ্যমে অবৈধ চাঁদা গ্রহণ, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ কমিশন গ্রহণসহ নানা অনিয়ম করে আসছেন।
এর পর মাহবুবুল আলম ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাচন ও ভোটবিহীনভাবে লতিফের ক্ষমতাবলে চেম্বারের সভাপতি পদে আসীন ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) এর সভাপতির পদে আসীন আছেন। তিনি খাতুনগঞ্জের একজন অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী এবং দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত রয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ এম.এ লতিফ ও মাহবুবুল আলমের সকল অপরাধের সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করার দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক নসরুল কাদির চৌধুরী, মো. শাহনেওয়াজ, অ্যাড. হাসান আরিফ, ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, ডা. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. মো. আলাউদ্দিন ও অ্যাড. জালাল উদ্দিন পারভেজ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।