নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৩৬টি খালের মধ্যে ১৮ থেকে ২০ টি খালে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ কাজ আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে শেষ হবে। এরপর খালগুলোতে বর্তমানে কাজের সুবিধার্থে যে মাটির বাঁধ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অপসারণ করা হবে। একইসঙ্গে সম্পূর্ণ খনন করা হবে খালগুলো। এতে বর্ষায় দ্রুত পানি নিষ্কাশনে আর বাধা থাকবে না। এছাড়া বর্ষার আগেই ১৭টি খালের মুখে স্লুইস গেট বসানোর কাজ শেষ হবে। এতে জোয়ারের পানি ঢুকে সৃষ্ট জলাবদ্ধতাও নিয়ন্ত্রণে আসবে। চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য উঠে আসে। গতকাল সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অতিথি ছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।
সভায় মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খাল খননের উপর জোর দেয়া হয়। সিডিএ’সহ উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কাছে প্রস্তাব করেন, খালগুলো নিয়ে যেন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। অবশ্য সভার শুরুতে মেয়র সিডিএ’কে তাদের প্রকল্পে খালগুলো অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। এছাড়া যে ৩৬ খালে সিডিএ কাজ করছে তার তালিকা সরবরাহের অনুরোধ করেন। সভায় মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যান উভয়ই সমন্বয়ের উপর জোর দেন। এছাড়া স্লুইচ গেট স্থাপন শেষে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
২১ খাল প্রসঙ্গে : সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতায় ৩৬ খালে প্রকল্পের কাজ চলছে। এর বাইরে ২১টি খাল রয়ে গেছে। এগুলোকে যদি প্রকল্পের আওতায় আনতে না পারি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে না। অনেক খালে স্থাপনা হয়ে গেছে, ভরাট হয়ে গেছে। একটা খালের সাথে অন্য খালের সর্ম্পক আছে। ৩৬টি খালের লিস্টটা আমাদের দেন। এর বাইরে ২১টি খালের লিস্ট মাস্টার প্ল্যানে আছে, সেটাও দেন। আমরা মাটি উত্তোলন করব। তিনি বলেন, যদি সিডিএ বলে খালগুলো সিটি কর্পোরেশন করবে, তাহলে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিতে পারব। যদি সিডিএ তাদের প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করতে চায় এতেও রাজি। মূল কথা হচ্ছে, যে সংস্থাই করুক আমরা যেন জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাই।
সিডিএ সচিব আনোয়ার পাশা বলেন, এই ২১ খাল নিয়ে সিটি কর্পোরেশন আলাদা প্রকল্প নিতে পারে। কেননা সেনাবাহিনীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হতে যাচ্ছে। এই অবস্থায় খালগুলো অন্তর্ভুক্ত করে পরবর্তী পর্যায়ে একনেকের অনুমোদন নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। তাই এসব খালে কাজ করার ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কারিগরি সহায়তা নিতে পারে।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ২১ খালসহ আমাদের প্রকল্পে যা নাই তা দিয়ে সিটি কর্পোরেশন দ্রুত প্রকল্প সাবমিট করতে পারে।
স্লুইস গেটের দায়িত্ব কার : সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, সিডিএর দুটি প্রকল্পের আওতায় ১৭টি খালের মুখে স্লুইসগেট বসানোর কাজ আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে শেষ হতে পারে। এগুলোর কাজ শেষ হলে নগরে আর জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা সমস্যা থাকবে না। তিনি স্লুইসগেট মেনটেনেন্সের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে জনবল ঠিক করার আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যন জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ভার্চুয়ালি যে মিটিং করেছিলেন সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল, স্লুইসগেটের জনবল সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থা করবে। এখন স্লুইসগেটের অপারেটরদের ট্রেনিং দেয়া হবে। সেখানে যেসব জনবল লাগবে তার তালিকা সিডিএ থেকে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র বলেন, গত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্লুইসগেট মেনটেন্সের জন্য বিশাল জনবল ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। গত সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে সিডিএ প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির তালিকা সরবরাহ করার কথা থাকলেও এখনো তা করেনি।
ড্রেন বুঝে নিতে চসিকে অনুরোধ : মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, ডিপিপিতে যেসব ড্রেন ছিল তার কাজ শেষ করেছি। ইতোমধ্যে আমরা সেগুলো হস্তান্তরে সিডিএ’কে চিঠি দিয়েছি।
সিডিএ চেয়ারম্যান শেষ হওয়া ছোট ড্রেনগুলো বুঝে নিতে সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ করে বলেন, কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের লেবার দিয়েও কাজ করানো যাবে।
সিটি মেয়র বলেন, প্রকল্প সম্পূর্ণ না হলে মেনটেনেন্স করা খুব কঠিন। এসব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবল লাগবে। সেজন্য আগে থেকে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। হঠাৎ করে চাপিয়ে দিলে আগের অবস্থা হবে।
সিডিএর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ৩৬ টি খালের কাজ একসাথে করা সম্ভব না। রিটেইনিং ওয়ালের কাজ যে খালে ধরবেন সেটা একেবারে শেষ করে ফেলবেন। এতে অন্তত একটি অঞ্চলের লোকজন জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে।
এপ্রিলের পর খালে মাটি থাকবে না : নগরের বিভিন্ন খালে দেয়া বাঁধের জন্য সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সমালোচনা করেন মেয়র। তিনি বলেন, কাজের স্বার্থে খাল ভরাট করে রাস্তা করা হয়। কিন্তু পানি যাওয়ার যে স্পেস রাখা হয়েছে সেটা সংকীর্ণ। অনেক জায়গায় একেবারে ভরাট করা হয়েছে। ফলে পানি যেতে পারছে না। এতে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। মানুষ সরকারের সমালোচনা করছেন। তিনি বলেন, প্রকল্প শেষ হলে সুফল পাব ঠিক আছে। তাই বলে কাজের সময় যদি মানুষকে মাসের পর মাস কষ্ট ভোগ করতে হলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নও করতে হবে, আবার মানুষ যেন কষ্ট কম পায় সেটাও দেখতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, অনেক খালের দুই পাশে জায়গা নাই। স্থাপনা হয়েছে। স্কেভেটর নেয়া যায় না। তাই রাস্তা তৈরি করে আমাদের কাজ করতে হয়। এপ্রিলের মধ্যে ১৮-২০ টি খালে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ শেষ হবে। এরপর বাঁধগুলো অপসারণ করে ফেলব। বলতে পারি এপ্রিলের পর খালে মাটি থাকবে না। তিনি প্রকল্পের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ শেষ বলেও জানান।
দুর্ঘটনা রোধে খাল-নালার পাশে প্রতিবন্ধকতা : সিডিএ প্রধান প্রকৗশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, নগরের উন্মুক্ত নালা ও খালে পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে অনেক বছর থেকে। সিডিএ কাজ করছে দুই বছর ধরে। তাহলে আগে কেন সিটি কর্পোরেশন এ ব্যাপারে কাজ করেনি। সিটি কর্পোরেশনের আগেই এসব নালা ও খালের পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, আমাদের প্রকল্পে যেসব খাল আছে সেখানে আমরা ব্যারিয়ার দিয়ে দিব। বাকিটা যেন সিটি কর্পোরেশন দিয়ে দেয়।
প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, বড় খালে স্ল্যাব বসানো যাবে। সেখানে দুই ফিট করে রেলিং দিয়ে দেব। তিন ফিট দিলে পরে স্কেভেটর দিয়ে কাজ করতে সমস্যা হবে।
সিটি মেয়র বলেন, আমাদের অধীনে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ খোলা নালা-নর্দমা আছে সেখানে আমরা ফেন্সিং (বেড়া বা প্রতিবন্ধকতা) এর ব্যবস্থা করব।
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের গাড়ি : সিটি মেয়র বলেন, শহরের রাস্তার ধারণ ক্ষমতা ৮-১০ টন। কিন্তু বন্দর থেকে ৩০-৪০ টন মালামাল নিয়ে ট্রাক, লরি বের হয়। ফলে আমাদের তৈরিকৃত রাস্তা অল্পদিনে নষ্ট হয়ে যায়। এতে জনভোগান্তি হয়, সিটি কর্পোরেশনকে মানুষের গালাগালি শুনতে হয়। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে নতুন করে চিন্তা করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ভেতরে। তাই কর্পোরেশন বেঁচে থাকলে বন্দর বেঁেচ থাকবে। কর্পোরেশনকে সহযোগিতা না করে বন্দরের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে। শুধু আর্ন্তজাতিক বন্দর বললে হবে না, এ জন্য যেসব হ্যান্ডস দরকার, উপেযাগিতা দরকার সেগুলোও থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বে-টার্মিনালের ওখানে সিডিএ কিছু স্লুইস গেট নির্মাণ করছে। সেখানে বে-টার্মিনালের জন্য ওয়াল করে দেয়া হয়েছে। স্লইসগেটের পরে ২৫-৩০ ফুট জায়গা আছে। সেখানে পানি যাওয়ার ব্যবস্থা নাই। অনেক জায়গায় ভরাট। স্থানীয় লোকজন কষ্ট পাচ্ছে। এক্ষেত্রে বন্দরের কাছে অনুরোধ থাকবে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। ইচ্ছেমত সিদ্ধান্ত নিলে অনেক অসঙ্গতি বের হবে। এতে জনভোগান্তি হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরী। তাই বন্দরের স্বার্থটা দেখে উন্নয়ন করতে হবে।
পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে : পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর বলেন, খালগুলোর উৎস কিন্তু পাহাড়। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। বনায়ন করতে হবে। মেয়র বলেন, অবিরাম পাহাড় কেটে চট্টগ্রাম শহরকে ন্যাড়া করে দেয়া হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর চুপ করে থাকে। একটি নোটিশ দিয়ে এগুলো বন্ধ হয় না। অ্যাকশনে যেতে হবে। যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিতে হবে। কে প্রভাবশালী, কার হাই-প্রোফাইল ফাইল দখার দরকার নাই।
তিনি বলেন, ঠান্ডাছড়িতে কর্পোরেশনের জায়গায় কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি হয়েছে। সেখানে আমাদের লেকের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। মাছ মরে যাচ্ছে। গাছপালা মরে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কীভাবে এ ফ্যাক্টরির অনুমতি দিল। ফ্যাক্টরির আওয়াজে সেখানে পশু-পাখি যা ছিল সেগুলোও চলে গেছে। সেখানে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর দেখে না?
সমন্বয়ে জোর : সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, আগে বিভিন্ন সংস্থার অভাব ছিল। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে সমন্বয় সভা শুরু করলাম। সব সংস্থা মিলে সমন্বয় না করলে কার্যকর উন্নয়ন হবে না। সিটি মেয়র বলেন, বারবার বলে আসছি সমন্বয়ের বিকল্প নাই। শহরে কাজ করতে হলে সমন্বয় করতে হবে। সব সংস্থার লক্ষ্য চট্টগ্রামের মানুষকে স্বস্তি দেয়া ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা দেয়া।
রোড কাটিং নিয়ে সিএমপি’র প্রশ্ন : সিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. তারেক আহম্মেদ বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় ঠিকাদার রাতে সড়ক কেটে ফেলে চলে যায়। সকালে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে আমাদের বেগ পেতে হয়। তই রাস্তা কাটার বিষয়ে পুলিশকে আগেভাগে অবগত করার প্রস্তাব করেন তিনি।
সিটি মেয়র বলেন, অনুমতি না নিয়ে ওয়াসা সড়ক কেটে ফেলে উল্লেখ করে বলেন, অনেক সময় তারা ২০১৮ সালের অনুমতি পত্র দেখায়। অথচ এখন ২০২২। তাই ওয়াসাকে বলব রোড কাটিংয়ের জন্য অনুমতি নেন। এ বিষয়ের পুলিশের সাথেও সমন্বয় করার দরকার আছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প ও রোড কাটিংয়ের কাজ সমন্বয় করতে একজন প্রকৌশলীকে লিয়াজোঁ করার দায়িত্ব অর্পন করা হচ্ছে। সামনে থেকে আর সমস্যা হবে না।
জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী পলিথিন ও গার্বেজ : পলিথিন ও গার্বেজের জন্য খাল ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে আলোচনায় উঠে আসে। চট্টগ্রাম বন্দরের সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার মো. নাছির উদ্দিন বলেন, জুনে কর্ণফুলী ড্রেজিং কাজ শেষ হয়ে যাবে। দৈনিক ২২শ টন গার্বেজ কর্ণফুলীতে গিয়ে পড়ছে। এটা বন্ধ না হলে আবারো ভরাট হয়ে যাবে। এ জন্য গার্বেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান স্থাপনে চসিকের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া খালের মুখে নেট দেয়া যেতে পারে। এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শহীদুল আলম বন্দরকে নেট দেয়ার অনুরোধ করেন।
লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, সকালে ঝাড়ু দিয়ে অনেক সময় সিটি কর্পোরেশনের সুইপার খালে ময়লা ফেলে। কাজী হাসান বিন শামস বরেন, বর্জ্য খাল-নালায় পতিত হচ্ছে। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট না হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও ১৫-২০ শতাংশ সুফল আসবে না। সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, পলিথিনে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ২০০৪-০৫ সালে চট্টগ্রামে পলিথিনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের জোরালো অভিযান ছিল। তখন পলিথিনের ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ব্যবহার বাড়ছে। মেয়র বলেন, পলিথিনের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। ইতোমধ্যে তিনটি বাজার পলিথিনমুক্ত করা হয়েছে।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, বন্দরের সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার মো. নাছির উদ্দিন, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি রায়হান মাহবুব, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক। উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, ফরহাদুল আলম, রাজীব দাশ, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।












