জুলাইয়ের শহীদ পরিবার, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা আফরোজের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, এনসিপি নতুন পলিটিক্যাল কালচারকে ধারণ করতে পারবে। এনসিপি নারীদের সামনে নিয়ে এসেছে যেটা নয়া রাজনীতির বন্দোবস্তেরই অংশ। এনসিপি নারীদের ইনক্লুসিভিটি নিয়ে কাজ করছে।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমদুর রহমানের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তার বিচারের দাবি জানিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত করতে ছাত্রদের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কার কাঠামোর যে পরিবর্তন তার বিরোধিতা করার অর্থই ফ্যাসিবাদ কাঠামোকে টিকিয়ে রাখা।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম মূখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ বলেন, গণহত্যার সাথে জড়িতদের ঠিকঠাকভাবে বিচার না করলে রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার কায়েম হবে না। ৭১ এর পরবর্তী সময়ে আমরা যুদ্ধাপরাধ প্রশ্নটাকে ঠিকঠাকভাবে মোকাবেলা করতে না পারায় ১৪তে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়। তিনি আরও প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, যদি ২৪ এর আওয়ামী লীগের বিচার আমরা করতে না পারি, নিকট ভবিষ্যতে আরও একটা গণজাগরণ মঞ্চ হবে না তার নিশ্চয়তা কি? আওয়ামী বিচার না করা মানে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য পরিস্থিতি জিইয়ে রাখা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্যে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।
জুলাইয়ের শহীদ উমরের মা বলেন, আমাদের ছেলেদের হত্যার বিচার এখনো হয়নি। তাদের ক্ষমতার জন্যে আমার হীরের টুকরা ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আমাদের সন্তানের বিচার না করে আমরা নির্বাচন চাই না। বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র সংগঠক মোহাম্মদ এরফানুল হক, মো. রাফসান জানি রিয়াজ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।