এনসিটি পরিচালনা করবে চিটাগাং ড্রাইডক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৪ জুলাই, ২০২৫ at ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) সরাসরি বাংলাদেশ নৌবাহিনী নয়, তবে নৌবাহিনীর পরিচালনাধীন চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেড এনসিটি পরিচালনা করবে। আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ড্রাইডকের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করবে। আগামী ৭ জুলাই থেকে ড্রাইডকের নিয়ন্ত্রণেই এনসিটিতে কন্টেনার এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংসহ যাবতীয় অপারেশনাল কার্যক্রম চলবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এনসিটিতে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে। এই টার্মিনালের কার্যক্রম কোনভাবেই ব্যাহত হবে না।

বন্দর সচিব বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে (ডিপিএম) পদ্ধতিতে চিটাগাং ড্রাইডকের সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি হবে এবং ড্রাইডকই এনসিটি পরিচালনা করবে।

চট্টগ্রাম ড্রাইডকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, আমাদের অভিজ্ঞ ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। আমরা তলানিতে চলে যাওয়া চিটাগাং ড্রাইডককে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। এনসিটি পরিচালনা করতেও আমাদের কোন বেগ পেতে হবে না। সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই পরিচালিত হবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য ড্রাইডক বন্দরের বিদ্যমান লোকবলের পাশাপাশি ইচ্ছে করলে আরো লোকবল নিয়োগ করতে পারবে। দেশের সবচেয়ে বড় কন্টেনার টার্মিনাল এনসিটি। দীর্ঘদিন ধরে এটি বেসরকারি অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক পরিচালনা করে আসছিল। এই কোম্পানির সাথে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৬ জুলাই। এনসিটির পাঁচটি জেটির চারটি সমুদ্রগ্রামী জাহাজ এবং একটিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী জাহাজ ভিড়ে। টার্মিনালটিতে কী গ্যান্ট্রি ক্রেন, স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ারসহ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কেনা অন্ততঃ দুই হাজার কোটি টাকার ইকুইপমেন্ট রয়েছে।

শিপিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিটাগাং ড্রাইডক পরিচালনা করতে গিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী অভাবনীয় সফলতা দেখিয়েছে। চিটাগাং ড্রাইডকের চেহারা পাল্টে গেছে। নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালেও নিশ্চয় তারা সর্বোচ্চটা করবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরাপত্তাবাহিনী। তারা কোন কোম্পানি নয় যে, এনসিটি পরিচালনার ব্যাপারে চুক্তি করবে। তাই সরাসরি নৌবাহিনী বন্দরের সাথে চুক্তি না করলেও নৌবাহিনীরই পরিচালনাধীন একটি কোম্পানি বন্দরের সাথে চুক্তি করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যতটুকু সাপোর্ট তা নিশ্চয় চিটাগাং ড্রাইডক পাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাদ-মুসা গ্রুপের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পরবর্তী নিবন্ধস্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ