চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও লালদিয়ার চর ইজারা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় নগরীর হালিশহর নয়াবাজার থেকে বড় পুল পর্যন্ত মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান।
টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। এই বন্দর নিয়ে কোনো প্রকার ছিনিমিনি খেলা সহ্য করা হবে না। ডক শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিকসহ দেশের শ্রমজীবী মানুষের হাতেই বন্দর পরিচালনা হবে; বিদেশিদের হাতে নয়। সরকারকে অবিলম্বে এনসিটি ও লালদিয়ার চর ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে বন্দরসহ সারা বাংলাদেশ অচল করে দেয়া হবে। এ সময় তিনি আগামী ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিভাগীয় শ্রমিক কনভেনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম, বন্দর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সভাপতি নুরুল আবসার তৌহিদ, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের খোরশেদুল আলম, বিএমএসএফ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাম্প্রতিক গণবিজ্ঞপ্তিতে সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। ভবিষ্যতে নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করা হলে আন্দোলন আরো বেগবান হবে।
বক্তারা দাবি জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ও লালদিয়ার চর জাতীয় সম্পদ, যা কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা বহুজাতিক কোম্পানির কাছে ইজারা দেয়া যাবে না। তারা ঘোষণা দেন, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে স্কপসহ সকল শ্রমিক সংগঠন বৃহত্তর ঐক্য গড়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











