সুদর্শন চেহারা আর শুদ্ধ বাংলায় বাঁচন ভঙ্গি। পেশায় এনজিওকর্মী। তাতেই পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টা ছিল এনজিও কর্মী আরিফ উল্লাহর (২৫)। কিন্তু বিধিবাম, পুলিশ কর্মকর্তাদের দক্ষতার কাছে হেরে গেছেন এই অস্ত্র ব্যবসায়ী।
তাকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য জনিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান। তার কাছ থেকে দুইটি নতুন তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আরিফ উল্লাহ মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়ার বারঘর পাড়ার আবুল কালামের ছেলে। গেল এক বছর ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বা বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছেন তিনি। যার প্রতিটি অস্ত্রের মূ্ল্য ১৮ হাজার করে। যা তৈরি হয় মহেশখালীর গহীন পাহাড়ের কারখানায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে- এনজিওকর্মী পরিচয়ে এর আগেও কয়েকবার অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচার করেছিল। তেমনি সোমবার রাতে শহরের ৬নং ঘাট থেকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। সুদর্শন চেহারা বা বাঁচন ভঙ্গির কারণে পুলিশকে বেশ বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা ছিল এই অস্ত্র ব্যবসায়ীর।
কিন্তু পুলিশের দক্ষতায় আটকা তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন- দীর্ঘদিন ধরে তার উপর নজর রাখছিলো পুলিশ। এনজিওকর্মীর পরিচয়ে বার বার অস্ত্র নিয়ে যেতো আরিফ। তাদের সিন্ডিকেটের ব্যাপারে তথ্য নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।