এদেশের নারীরা কি স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার পাবে না

ববি বড়ুয়া | সোমবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

মেঘের স্তরের ওপরে থাকা বিমান ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। গোঙানির মতো শব্দ করতে করতে মেঘের পুরু আস্তরণ ভেদ করে বিমান বের হতেই ওপরে থাকা তারাখচিত রাতের আকাশ এখন আরও পরিষ্কার। একই সাথে নিচে থাকা রাতের শহরের ঝলমলে আলো জ্বালা রাস্তা, উঁচু দালান আরও দৃশ্যমান। আজ থেকে ১৭ বছর আগের দেখা ব্যাংকক শহর আবারো নতুন করে দেখার আগ্রহ মনকে উদ্বেলিত করছে। পথঘাট, দালান, তাদের কড়া শাসন ব্যবস্থা, নানা অবধারিত নিয়মকানুন ঠিক আগের মতোই কি আছে? থাই লোকেদের চিরাচরিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় দেখা হওয়া মাত্র মিষ্টি হেসে অনেকটা উবু হয়ে অভর্থনা বাক্য ‘স্বোয়াদ্দিকা’ কি আগের মতো বলে? নানা প্রশ্নের উত্তর জানার কৌতূহল মনকে বারবার বিদ্ধ করে চলেছে।
বিয়ের প্রথম বছর প্রথম বারের মতো দুটি পরিবারের সন্তান অভিভাবক ছাড়া নিজেরা বিদেশের মাটিতে পা রেখেছিল। পরিবারের খোলস ছেড়ে বের হওয়া ডানা ঝাপটানো বিহঙ্গের মতো প্রথম মুক্ত আকাশে ওড়ার স্বাদ নিয়েছিল। সে এক অমৃত অনুভূতি! এরই মধ্যে জীবনে সময় গড়িয়েছে অনেক। এর মাঝে যত দেশেই গেছি সন্তানদের সাথে নিয়ে গেছি। সেসব ঘটনা না হয় আরেক দিন হবে। এবার আবারও আমরা দুজন দুজনের সাথী হয়ে বেড়িয়েছি। আবার সেই আগের অনুভূতি।
বিমান ধীরে হালকাভাবে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূমিতে অবতীর্ণ হয়েছে। এয়ারক্রাফট হতে নামতেই চোখ ধাঁধানো এয়ারপোর্টের সৌন্দর্যে মন ভালো হয়ে গেল। পরিষ্কার ঝকঝকে তকতকে চারপাশ। লাগেজ বেল্টে লাগেজ নিয়ে টানাটানি করার, লাগেজে ব্লেড চালিয়ে জিনিস হাতিয়ে নেয়া ভয় নেই। সবকিছুই যেন নিজ কায়দায় সুসম্পন্ন হচ্ছে। যাই হোক, যে যার লাগেজ ট্রলিতে নিয়ে যার যার গন্তব্যে পৌঁছানোয় উদগ্রীব।একের পর এক দেখা মিলতে শুরু করেছে নানা বয়েসী নারীপুরুষের। যে দেশেই যাই না কেন পুরুষের পোশাক-আশাকে তেমন ভিন্নতা দেখা না গেলেও নারীদের ক্ষেত্রে কিছটা লক্ষ্য করা যায়। কিশোরী, তরুণী, যুবতী কিংবা বৃদ্ধ নারীরা যে যার মতো পোশাক পরিধান করা। কেউ টিশার্ট, ট্রাউজার, কেউ জিন্স, শর্টস, স্কার্ট আবার কেউ দামী দামী ব্র্যান্ড এর হরেক রকম পোশাক। যে যাই পরুক এতে কারো কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। একমাত্র হয়তো আমিই ছিলাম যে তাদের দিকে গভীর পর্যবেক্ষকের মতো চোখ বুলাচ্ছিলাম। যা তাদের চোখে অশোভন ও অভদ্রতারই সামিল। ছোট শিশু, কিশোর-কিশোরীদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক। অন্য দেশ থেকে ফিরতি থাই শিশু-কিশোরদের নতুন কোন দেশের নতুন নতুন অভিজ্ঞতার আনন্দ কিংবা যারা অন্য দেশ থেকে এদেশে আসছে তাদের নতুন দেশ দেখার আগ্রহ। আবার অনেক শিশুদের চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপও ছিল।
আরেকটি বিষয় বরাবরই খুব ভালো লাগে তা হলো,যখন যে দেশেই গেছি সেখানেই দেখেছি তারা প্রচুর পড়াশোনা করে। তাদের কে কতো বড় কিংবা ছোট, নতুন কিংবা পুরনো পোশাক পরিধান করলো এতে কোনও মাথা ব্যথা না থাকলেও ভ্রমণ কালে দু’কাঁধে ঝোলানো বড়সড় আঁটসাঁট একটা ব্যাগ আর হাতে বই কিংবা মোবাইল থাকছেই। আবার কাউকে দেখেছি জুতার জায়গা বেগে সংকুলান না হলে জুতোজোড়ার ফিতায় জোড়া লাগিয়ে কখনো কাঁধে কিংবা বেগের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছেন। যা আমাদের দেশে কল্পনাও করা যায় না। যাই হোক যা লিখছিলাম, তাদের অনেকেকই মোবাইলে মনোযোগী দেখে প্রথমে ভাবছিলাম আমাদের মতোই দিনে রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা নানা ধরনের অ্যাপ্সে ডুবে আছে হয়তো। পরবর্তীতে আমাদের বাঙালি অনুসন্ধিৎসু চোখে উঁকি দিয়ে দেখলে বুঝতে পারে-না, তারা এসব কিছুই করছে না। তাদের কেউ গুগল থেকেই যে দেশে যাচ্ছে সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য বা উপন্যাস, আর্টিকেল কিংবা প্রয়োজনীয় পড়াশোনা করছে। যে অভ্যাস আমরা চেষ্টা করেও রপ্ত করতে পারছি না।
যাই হোক, এয়ারপোর্ট হতে একটি হোটেল কামরায় এসে একটু ফ্রেশ হয়েই বেরিয়ে পড়লাম কোনও রেস্তোরাঁয় গিয়ে রাতের খাবার সারবো বলে। আমাদের হোটেল সুকুম্বীতেই। যেহেতু আমি তাদের এলাকার নিজস্ব খাবার খেতে চেয়েছি তাই অনতিদূরে রাতের জাঁকজমকপূর্ণ নানা নোয়া সয়াতে একটি স্থানীয় খাবারের রেস্তোরাঁয় খেতে বসলাম। কতো করে খাবারে ১৭ বছর আগের গন্ধ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করলাম। না। ঠিক আগের মতো নেই। বলে রাখা ভালো থাইল্যান্ডে রাস্তাকে ‘সয়া’ বলে। খাবার শেষ করে হাঁটতে শুরু করেছি।
আলো ঝলমলে ঝকঝকে তকতকে রাস্তার ধারে চারপাশে রকমারি জিনিসের স্থায়ী দোকানপাটের পাশাপাশি থাই লোকেরা তাদের সারাদিনের অফিস সেরে কিছু অস্থায়ী দোকান নিয়ে যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী রকমারি বাহারি পণ্য নিয়ে বসে সন্ধ্যার পরেই। এটা সম্ভবত তাদের বাড়তি আয়ের পদ্ধতি। আর যেহেতু এই এলাকা বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রসিদ্ধ তাই এখানে দোকানপাটগুলোয় বিকিকিনি জমেও বেশ।আবারএখানে পথের ধারে ছোট ছোট ভ্যান বা কার্টে গরমগরম ভাজাপোড়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার কিংবা তাজা ফলের সমারোহে রমরমা ব্যবসা। আর এখানে স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী হোক সকল প্রকার দোকানের দোকানী কিন্তু নারী। গৌর বর্ণের সুন্দরী রমনীদের ছোট বড় হরেক রকম আকর্ষণীয় পোশাকে চমৎকার বিনয়ী বাক্য বিনিময়ে চলছে তাদের সওদা। অবাক করা বিষয় বিদেশের মাটিতে ক্রমশ ভুলতে থাকি আমরা নিজের দেশে নেই। চারপাশে বাংলা ভাষাভাষী মানুষে সুকুম্বীতের পথঘাট সরগরম। রাস্তার ধারে, অলিতে-গলিতে কেউ দাড়িয়ে কেউ বসে থাকা চড়া প্রসাধনীতে সুন্দরী রমনীদের জটলা পাকানো ভীড়। এখানকার রমনীরা উচ্চতায় খুব বেশি নয়। আবার কিছু রমনী দেখতে পাচ্ছি যারা একটু বেশি লম্বা এবং একটু যেন অন্য রকম। আমি একটু বেশি মনোযোগ দিতে গেলেই আমার স্বামী হাত চেপে বলে, ‘এভাবে তাকিও না। ওরা মেয়ে নয়, ট্রান্স জেন্ডার। তোমার এমন তাকানো তারা ভালোভাবে নেয় না।’ কৌতূহল আরো বেড়ে যায়। এতে সে আরেকটু বিরক্ত হয়েই সেই সব বুঝিয়ে দিতে শুরু করে যে, তারা নারীপুরুষের মাঝামাঝি পর্যায়ের মানুষ এবং একটি পর্যায়ে সে বোঝাতেও সক্ষম হয়। আহা! কী অদ্ভুত প্রকৃতির সৃষ্টি! সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেছেন তো বটে। কিন্তু তাদের আকারে-গড়নে-স্বভাবে কতো ফারাক।
একটা কথা বলা হলো না, আমরা ব্যাংককে গিয়েছি বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব ‘ওয়ার্ল্ড ফেলোশিফ অব বুড্ডিস্ট’ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের কনভেনশনে যোগ দিতে। কনভেনশন নিয়ে আরেকদিন লিখবো। তিনদিন ব্যাপী কনভেনশনের নানা কর্মসূচি পালন করে প্রতি রাতেই বেরিয়ে পড়তাম সুকুম্বীতের বিভিন্ন শপিংমল কিংবা পথের ধারে থাকা নানা দোকানপাটে। বলা হয়নি, আমাদের সাথে আমার স্বামীর বন্ধু, আমার ছোট ভাইও গিয়েছিল। এখানকার আবহাওয়ায় যেমন শরীর থেকে ঘাম ঝরায় না তেমনি রাস্তায় ধুলাবালিও কম আর একই সাথে সকলে গল্প আর হাসাহাসিতে মাইলের পর মাইল হাঁটলেও ক্লান্তি অনুভব হয়নি এতখানি।
রাস্তার ধারে আছে সারি সারি ম্যাসেজ পার্লার। আর সে সকল দোকানের সামনে কিংবা আশেপাশে জটলা পাকানো সুন্দরী রমনীরা খদ্দের ডেকে সারা হচ্ছেন। আর যেহেতু আমাদের বাঙালিদের সংখ্যা একটু বেশি চোখে পড়েছে তাই কেউ আড়ালে আবার কেউ প্রকাশ্যেই তাদের সাথে দরদাম করছেন। অবশ্য আগের বার অন্য দেশের পর্যটক অনেক বেশি ছিল। কোভিডের কারণে এতোদিন পর্যটক আসার ব্যাপারে কিছুটা বাধা ছিল। আর তাই পর্যটন শিল্পের কারণে সে দেশের অর্থনীতিতেও মন্দ প্রভাব পড়েছে শুনেছি। আবার কতো দূর যেতেই নানা সয়াতেই ললিপপ নামে একটি মলের মতো দেখা গেলো। যেখানে রমনীরা অতিমাত্রায় ছোট পোশাকে নানা অঙ্গভঙ্গিতে আগন্তুকদের ডাকছেন। আমার অতি কৌতূহলী মন জানতে চায় কী হচ্ছে ওখানে? তাই স্বামীর ধরে থাকা হাত ছাড়িয়েই দেখতে চাইলাম ওখানে কী হয়। স্বামীর একগাল বকা শুনে ফিরতে হলো অবশেষে। বকার বিষয়বস্তু ছিল, ‘তুমি কি খেয়াল করেছো এখানে কি পরিমাণ বাঙালি গিজগিজ করছে? বাংলাদেশে তোমাকে মানুষ চেনে। তোমাকে তারা দেখলে, ছবি তুলে নিলে বুঝতে পারছো কেমন হবে? আমাদের মানুষ কী ভাববে? ‘এমন আরোও কতো কী শোনালো। তখন মুখে বলার সাহস না হলেও মনে মনে ভাবলাম, আমাকে দেখলে যদি তারা খারাপ ভাবেন তবে যে ভদ্রলোকেরা গেছেন তারা কী খুব ভালো মানুষ? ভালোভাবে ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে এরা তারাই যারা নিজের স্ত্রী কিংবা বোনকে পর্দার অন্তরালে রেখে নিজেদের কুৎসিত মনষ্কামনা চরিতার্থ করতে এসেছে এখানে। ভাবতেই কেমন যেন গা ঘিনঘিন করে উঠছিল।
মন খারাপ করে রুমে প্রবেশ করে হাত মুখ ধুয়ে শুতে যাওয়ার আগে জানালার কাচ খুলে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম। যেহেতু আমাদের হোটেল একটি রেসিডেনসিয়াল এলাকায় তাই এখানে মানুষের ভীড় নেই বললেই চলে। শান্ত ভদ্র এলাকাটি একেবারে সুনসান নীরবতা। হঠাৎ চোখে পড়লো একটি সুন্দরী রমনী একা একা হেঁটে হোটেলের সামনে পথ ধরে যাচ্ছেন। বুঝতে বাকি রইলো না সারাদিন পরিশ্রম করে দোকান হতে তৈরি খাবার সাথে নিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরছেন। না। তাদের ধর্ষণের ভয় নেই। তখন পাশে থাকা আমার স্বামীকে বললে, সে বললো, এখানকার আইন খুব শক্ত। নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ জোরাজোরি করলে তাদের কড়া সাজা হয়। নিজের দেশের অবস্থার কথা ভেবে বুকের ভেতর থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস ঠিকরে বেরিয়ে পড়লো।
এরই মধ্যে কনভেনশন শেষ করে আমরা ফুকেট ও কম্বোডিয়া গিয়েছিলাম। সব জায়গাতেই দেখেছি নারীরাই যেন অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর যন্ত্র। তাদের দিনরাতের কঠোর পরিশ্রমে দেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু এখানে কেন চায়না, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া সকল দেশেই নারীপুরুষ সবাই সমান তালে কাজ করছে। ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে নিজেদের ব্যক্তি জীবনে ও দেশের আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি অর্জনে। এখানে নারীরা দেশের যেমন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করছে ঠিক তেমনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে স্বাচ্ছন্দ্যে। কোনও রকম দ্বিধা-সংকোচ কিংবা নিরাপত্তাহীনতার জড়তা ছাড়া স্বাধীন উন্মুক্ত হয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার যে কটা দেশে গেছি তা থেকে যা অনুভব করেছি তা হলো নারীদের নিরাপত্তা, স্বাধীন মানসিকতা আর নিজের অধিকার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ছাড়া এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
যাই হোক প্রায় ১৩/১৪ দিনের মধুর সফর শেষে ঢাকা আন্তর্জাতিক জরাজীর্ণ বিমানবন্দরে প্রবেশ করতেই হাতে থাকা মুঠোফোনে চোখ বুলাতেই চোখে পড়ে চট্টগ্রাম জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের একটি লাইভ। যেখানে বলছে, মাত্র সাত বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বস্তা বন্দী করে ফেলে যাওয়ার ঘটনা। এই ক’টা দিনের ভ্রমণের মিষ্টি অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি নিমিষেই ম্লান হয়ে গেল। তিক্ততা আর বিষাদে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। কেমন দেশে বাস আমাদের যেখানে সাতবছরের শিশুর দিকে তাকাতেই নষ্ট নগ্ন পুরুষত্ব জেগে ওঠে? চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে রেহাই পায়না আশি বছরের বৃদ্ধা, বেআব্রু থেকে পর্দায় মোড়ানো নারী। তবে কি এদেশে পাষবিক পুরুষত্বের হিংস্রতা থেকে কেউ সুরক্ষিত নয়? এদেশের নারীরা কি কখনোই স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার পাবে না? এমনই নিরাপত্তাহীনতার কুণ্ঠায় জর্জরিত থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম? পুরুষ প্রজন্ম কি দিনের পর দিন এমন নিষ্ঠুর, অমানবিক, নৈতিকতা বিবর্জিত প্রাণী হয়েই বংশ বিস্তার করবে? আইনের দুর্বল অবকাঠামো আর বাস্তবায়নের অভাবে কি এই পাষবিকতা ক্রমশঃ বাড়তে থাকবে? আর নারীরা তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ক্রমশ পুরু কাপড়ের খাচায় বন্দী হতে থাকবে? প্রশ্ন আমার, কখন আমরা নারীকে নারী নয় বরং শুধু মানুষ হিসেবে জানবো? রক্তে মাংসে গড়া মানুষ?
লেখক : প্রবন্ধিক; অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ওমরগণি এমইএস কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালোত্তীর্ণ পুরুষ ছাবের আহমদ মাস্টার : এক পুণ্যাত্মার স্মারকগ্রন্থ
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গদেশ বাইরের নেতৃত্ব মেনে নেয় না