কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, বিএনপি কথায় কথায় বলে দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। অথচ এই বিএনপির জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল।
খালেদা–তারেকের নির্দেশে ২১ আগস্ট আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ ২১ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের নেতারা থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়া হয়নি। দেশের টেলিভিশন খুললেই দেখা যায় বিএনপি নেতারা সরকারের সমালোচনায়
ঝড় তুলেন। তারপরও তারা বলেন দেশে গণতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই। দেশের এতো উন্নয়ন–অগ্রযাত্রা, তারপরও এগুলো তাদের চোখে পড়ে না। গতকাল রাতে নগরীর জামালখানস্থ সিনিয়র্স ক্লাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্ব সরকারের একক প্রচেষ্টায় নির্মিত
পদ্মা সেতুর ভূয়সী প্রশংসা করলেও বিএনপি প্রশংসা করতে পারেনি। তারা তাদের নেতিবাচক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মেট্রো রেল হল, তাতেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি, টানেল হল– সেখানেও বিএনপি বলছে এটা লোক দেখানো।
আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ক্ষমতাবান হতে চাই না, আমি মানুষের ভালোবাসা চাই। আজীবন আপনাদের হৃদয়ে থাকতে চাই। সাংবাদিকদের সরকারের উন্নয়ন–অগ্রযাত্রার সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে তিন লাখ পরিবারকে ঘর দিয়েছেন। এরমধ্যে
দুই থেকে তিনশ ঘর ভেঙে পড়েছে। ধরে নিলাম চারশ ঘর ভেঙে পড়েছে। তাহলে তো দুই লাখ ৯৯ হাজার ৬শ ঘর রয়েছে, যেগুলোতে পরিবার নিয়ে লোকজন বসবাস করছে। সাংবাদিকরা তো এই পজেটিভ সংবাদগুলো তুলে ধরতে পারেন। একটি দেশের উন্নয়নে সাংবাদিকদেরও অগ্রণী ভূমিকা থাকা উচিত।
এসময় মঞ্চে ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, গোলাম ফারুক ডলার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, নির্বাহী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ, মোয়াজ্জেমুল হক প্রমুখ।