এটা ভোট ডাকাতি ছাড়া আর কিছু না : শাহাদাত

অনিয়ম বিশ্বকে দেখিয়ে দেব

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ভোটগ্রহণ চলাকালে দিনভর নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরার পরও নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দৈনিক আজাদীকে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০টি কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। তখন সর্বোচ্চ ভোট কাস্ট হয়েছিল ৬ শতাংশ। শেষ দুই ঘণ্টায় যদি বেশি কাস্ট দেখায় সেটা হবে অবিশ্বাস্য। এটা ভোট ডাকাতি ছাড়া আর কিছু না।
তিনি বলেন, ভোটের আগে আমরা তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম নির্বাচন কমিশনে। এর একটি ছিল ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা দেয়া। দাবি মেনে নিলেও তারা বাস্তবায়ন করেনি। বিএড কলেজে আমার সামনে ৫ নম্বর বুথে দেখেছি, ব্যালট প্যানেলে আওয়ামী লীগের একজন দাঁড়িয়ে আছে। আমার এক কর্মীর ভোট দিয়ে সে দৌড়ে চলে যায়। অনেক জায়গায় ধানের শীষ বাটনে চাপ দিলে আম চলে এসেছে।
তিনি বলেন, আগ্রাবাদে একটি কেন্দ্রে আমি ১৪৩ এবং নৌকা পেয়েছে ২ ভোট। সেখানে আমার মহিলা এজেন্ট ছিল। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা তাকে চাপ দিয়েছে ফলাফল উল্টে দেয়ার জন্য। সে রাজি না হওয়ায় হুমকি দেয়। পরে র‌্যাব পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকের শাহাদাত বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, প্রশাসন যন্ত্রের সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে। সব এজেন্ট প্রশাসনের সামনে অসহায় ছিল। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কারও সহায়তা পাইনি। প্রতি কেন্দ্রে বহিরাগত জড়ো করা হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে সাধারণ ভোটাররা কেউ কেন্দ্রে আসতে পারেনি।
এর আগে সকাল ১০টায় পশ্চিম বাকলিয়া বিএড কলেজ কেন্দ্র ভোট দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম বিশ্বকে দেখিয়ে দেব। ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছে, প্রশাসন আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জেতাতে উঠেপড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন কোনো সাহায্য সহযোগিতা করছে না। বিএড কলেজ কেন্দ্রে নারী এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। তাদের কেন্দ্রে ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। এত অনিয়ম, তা আপনারা দেখছেন। ভোটের নামে এসব সন্ত্রাস বিশ্বকে দেখিয়ে দেব।
এর আগে সকাল ৯টায় বাদশা মিয়া রোডের বাসা থেকে মায়ের পা ধরে সালাম করে ভোট দিতে বের হন তিনি। এ সময় বলেন, পশ্চিম বাকলিয়া, পাথরঘাটা ও জামালখানে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে রেখেছে। গতকাল রাতে বাকলিয়ার ৭ জন এজেন্টকে মারধর করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাউন্সিলর প্রার্থী ঘিরেই সংঘাত
পরবর্তী নিবন্ধ‘অ ফুত ইতেরে ফাঁসি দি আঁরারে বাঁচা’