শরৎ মানেই আকাশজুড়ে শুভ্র মেঘের ওড়াওড়ি। ভাদ্রের শেষে প্রকৃতিরাজ যেন তার সেই রূপ মেলে ধরেছে আরও সুচারুভাবে। চোখ মেলে আকাশের দিকে তাকালেই শুভ্র পেঁজা তুলোর মতো মেঘ চোখে পড়ে। এখন প্রকৃতিজুড়ে শরতের চিহ্ন। আকাশে কখনো সাদা, কখনো ধূসর মেঘ। ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলানো শরতের আকাশ নগরবাসীর মন কখনো ভালো, কখনো উদাস করে দেয়। শরৎ চিত্রকরের তুলিতেও আনে বর্ণিল আবহ। নীল আকাশে নাটাইহীন সাদা ঘুড়ির মতো দিনভর উড়ে বেড়ায় মেঘ। গোধূলিলগ্নে সোনারঙ ধারণ করে আকাশ। সেই আকাশের বুকে ডানা মেলে উড়ে যাওয়া চিল কিংবা নাম না জানা পাখিরা নজর কাড়ে। এছাড়া, বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে সবুজ মাঠে সাদা চাদর বিছিয়ে রাখে কাশফুল। প্রকৃতির এ রূপে মুগ্ধ হয়ে কবিরা কবিতা লেখেন। নিজের প্রিয়তমাকে তুলনা করেন শরতের সৌন্দর্যের সঙ্গে– ‘এখানে আকাশ নীল– নীলাভ আকাশ জুড়ে সজিনার ফুল/ ফুটে থাকে হিম শাদা্ত রং তার আশ্বিনের আলোর মতন’ (এখানে আকাশ নীল, জীবনানন্দ দাশ)। ভাদ্র–আশ্বিন– এ দু’ মাস শরতের সংসার। এসময় সকালে বাড়ির উঠানে শিউলি ঝরে, দুপুরে নীল আকাশে সাদা মেঘ ওড়ে আর রাত আলোকিত হয় জ্যোৎস্নায়। শরতের এ দৃশ্য মানুষের মন উদ্বেলিত করে। কখনো আবার মন উদাস করে দেয়।