রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ার দুঃখ নিয়েই বিদায় নিলেন ১৯৭১ সালের রণযোদ্ধা মো. এখলাছুর রহমান। গতকাল বুধবার সকাল সাতটায় কর্ণফুলী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন ৮২ বছর বয়সী এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাদ জোহর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানা গেছে, ১৯৭১ সালের মে মাসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। দেশ স্বধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনী ওসমানী স্বাক্ষরিত ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র’ও পেয়েছেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরিচয় পত্রও দেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালিকায় নাম না থাকায় বা গেজেটভুক্ত না হওয়ায় পাননি কোনো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। দাফনও হয়নি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়।
অবশ্য বেশ কয়েকবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেন। জীবিত অবস্থায় সহায়-সম্বলহীন থাকা এ মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র চাওয়া ছিল, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি, প্রাপ্য সম্মানি (ভাতা) পাওয়া এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন’। যার কোনোটিই পূরণ হয়নি। গতকাল তার জানাজায় অংশ নেয়া এম এ মাসুদ বলেন, এখলাছুর রহমানকে সবাই একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিনতেন। তাই রাষ্ট্রীয় তালিকায় নাম না থাকা বিস্ময়কর।