অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল টাইগাররা। হার দিয়ে শুরু করতে হলো টুর্নামেন্ট। যদিও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোর পর্বে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিল টাইগাররা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ জায়গা করে নেয় সুপার ফোরে। কিন্তু সেখানে স্মৃতিটা কেবলই হতাশার। লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ ৭ উইকেটে। তারপরও টুর্নামেন্টে টিকে থাকার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। আর সে জন্য স্বাগতিক শ্রীলংকাকে হারাতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু সেটা পারেনি সাকিবরা। বোলাররা ভাল করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সুপার ফোর পর্বের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২১ রানে হারায় শ্রীলংকা। আর তাতেই টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশের বিদায় ঘন্টা বেজে যায়। সুপার ফোর পর্বের আর একটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। কাজেই এখন বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য কেবলই একটি সান্ত্বনার জয়। তবে সে জয়টাও যে বেশ কঠিন সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারণ শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে জয় পেতে হলে যে ধরনের ক্রিকেট খেলতে হবে বাংলাদেশকে সেটা এখনো পর্যন্ত দেখাতে পারেনি টাইগাররা এই টুর্নামেন্টে। তাই হয়তো গ্রুপ পর্বের সে জয়টাকে একমাত্র অর্জণ করে এশিয়া কাপকে বিদায় জানাতে হবে বাংলাদেশকে। এদিকে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল নিয়েও চলছে বেশ সমালোচনা। বিশেষ করে দলে যে তরুনদের নেওয়া হয়েছে বিশেষ করে আফিফ এবং শামীম পাটোয়ারীকে নিয়ে সমালোচনাটা বেশিই হচ্ছে। কারণ তারা টুর্নামেন্টে দলের জন্য কোন অবদান রাখতে পারছে না। এমনিতেই তামিম নেই। নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ খেললেও ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে লিটন দাশ দলের সাথে যোগ দিলেও পারছেন না নিজেকে মেলে ধরতে। লিটনের ব্যাটে নেই কোন রান। নাঈম শেখ কিংবা তাওহিদ হৃদয়রা পারছেন না দলকে এগিয়ে নিতে। ফলে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংটা একেবারেই হতশ্রী হয়ে পড়েছে। আর তাতেই ক্রমাগত হারতে হচ্ছে টাইগারদের। অথচ বোলাররা প্রতি ম্যাচেই ভালো বল করছেন। প্রতিপক্ষকে কম রানে বেধে ফেলছেন কিংবা লক্ষ্যটাকে নাগালের মধ্যেই রাখছেন। কিন্তু ব্যাটাররা সেটা পারছেন না। যার ফলে এখনো পর্যন্ত এশিয়া কাপের চার ম্যাচের তিনটিতে হারতে হয়েছে সাকিবের দলকে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এখনো মাঝখানে তিদনদিন বাকি। এরই মধ্যে সাকিব এবং মুশফিক চলে এসেছেন ঢাকায়। মুশফিক এসেছেন তার অনাগত সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে। গতকাল কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মুশফিকের স্ত্রী। তবে সাকিব এসেছে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে। হয়তো আজকালের মধ্যেই শ্রীলংকা ফিরে যাবেন দুজন। যোগ দেবেন দলের অনুশীলনে। তবে ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে কতটা লড়াই করতে পারবে বাংলাদেশ সেটা দেখতে অপেক্ষায় থাকতে হবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।