চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ২৭ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভোট কেন্দ্র, ইভিএম, ভোটার তালিকা ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ সকল ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রার্থীরাও তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি শেষ করেছেন। এখন মাঠে নামা এবং আনুষ্ঠানিক প্রচারণার জন্য অপেক্ষা। তবে আচরণবিধির কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় এখনই মাঠে নামতে পারছেন না প্রার্থীরা।
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, একজন সংরক্ষিত আসনের সহ ৪জন কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় এই চার ওয়ার্ডে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই চার ওয়ার্ডের প্রার্থীদের আগামী ৮ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ঐদিন (৮ জানুয়ারি) থেকে এই চার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীসহ অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং মেয়র প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। ভোট গ্রহণের ৪০দিন আগে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ঘোষণা করায় প্রার্থীদের তর সইছে না।
বর্তমানে ৭ জন মেয়র প্রার্থী এবং ২৬৯ জন কাউন্সিলর (সাধারণ ও সংরক্ষিত) প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওদের সাথে যুক্ত হবেন নতুন চার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ছিল। প্রায় ৯দিন আগে করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে করোনাকালে সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একজন এবং সাধারণ ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ১জন, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী মারা যান।
গত ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনরায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন। একইসাথে ৪ কাউন্সিলর মারা যাওয়ায় এসব ওয়ার্ডে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হয়।
নতুন করে যে ৪ ওয়ার্ডে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেই ওয়ার্ড সমূহের প্রার্থীদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ৩০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩১ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৭ জানুয়ারি। ২৭ জানুয়ারি সিটির ৪১ ওয়ার্ডে ইভিএম-এ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টায় একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন যে ৪ ওয়ার্ডে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে এই ৪ ওয়ার্ড ছাড়া অবশিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীরাও নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন।