এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্প

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এখন উৎপাদিত পানির গুণগত মান পরীক্ষা (প্রকল্পের ট্রায়াল রান চলছে) করা হচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর দিনে এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ রাঙ্গুনিয়াস্থ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করবেন। মন্ত্রী এবং সচিবের পরিদর্শনে তাদের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে ১৭ মার্চ প্রকল্পটি উদ্বোধন হতে পারে। তাঁরা প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা সরেজমিন দেখবেন এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে সার্বিক বিষয়ে ধারণা নেবেন। শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প- ২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম নগরবাসী চব্বিশ ঘণ্টা ওয়াসার সুপেয় পানি সরবরাহ পাবেন। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ আজাদীকে জানান, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় এবং সচিব মহোদয় শনিবার রাঙ্গুনিয়াস্থ প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। ট্রায়াল রান চলছে। মন্ত্রী এবং সচিব মহোদয় দেখার পর তাঁদের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে ১৭ মার্চ প্রকল্পটি উদ্বোধন হতে পারে। এটি হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে চট্টগ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি বড় উপহার। এ প্রকল্প চালু হলে নগরীতে আর পানির সংকট থাকবে না। নগরীর প্রতিটি এলাকায় পানি পাওয়া যাবে। অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত নগরীতে পানির জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। তখন আমরা গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেবো।
কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে-শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ ৪ হাজার ৪শ’ ৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এর মধ্যে জাইকা ৩ হাজার ৬শ’ ২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮শ’ ৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করে। ২০২০ সালের জুনে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। পরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা যোগ দিলে কাজে গতি আসে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এ প্রকল্পের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। ইতোমধ্যে মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্প চালু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্প থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার পানি উৎপাদিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে ওয়াসার পানির চাহিদা দৈনিক ৫০ কোটি লিটার। কিন্তু ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে প্রায় ৩৬ কোটি লিটার। শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্প থেকে প্রতিদিন পাওয়া যাবে আরো ১৪ কোটি লিটার। এতে নগরীর পানি সমস্যা আর থাকবে না। ২৪ ঘণ্টা পানি পাওয়া যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার
পরবর্তী নিবন্ধমার্চে ৩৮, এপ্রিলে ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে তাপমাত্রা