এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোটেও ভালো করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এই অর রাউন্ডার। ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে করেন ১১১ রান। যা তার নামের পাশে বড়ই বেমানান। বোলিংয়েও বেশির ভাগ ম্যাচেই নিজের কোটা পূরণ করতে পারেননি সাকিব। তাছাড়া সাকিবের চোখের সমস্যাও ব্যাটিংয়ের সময় ছিল স্পষ্ট। এ অবস্থায় অনেকেই সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলছেন। পরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুই বছর পর। সাকিবের নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা কী? যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার আগে তাকে করা হয় এই প্রশ্ন। উত্তরে সাকিব বলেন নিজেকে নিয়ে তেমন পরিকল্পনা নাই। আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে যে দুইটা টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে আমার সামনে সে দুইটা নিয়ে। একটা হচ্ছে এমএলসি। যেটা খেলতে আমি এখন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি। এরপরই থাকবে গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি লিগ । যেটা অনুষ্ঠিত হবে কানাডাতে। পরপর এই দুইটা টুর্নামেন্ট খেলার পর দেখি নিজের কী অবস্থা। এরপর তো রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আর সেটা হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ। আপাতত পরিকল্পনা এতটুকুই। খুব বেশি আসলে পরিকল্পনা করিনি। নিজের বুঝার দরকার আছে। এখন আসলে ওরকম সময় নেই যে তিন বছর, চার বছরের জন্য পরিকল্পনা করার। আমার মনে হয় তিন মাস কিংবা ছয় মাসের পরিকল্পনা করাটাই ভালো। আপাতত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে আমার। তার পরেরটা পরে চিন্তা করা যাবে। শরীর কতটা সাই দিচ্ছে, মাঠে কতটা পারফর্ম করতে পারছি সে সবও বিবেচনায় আনতে হবে। এখন আর আসলে লম্বা পরিকল্পনা করার কোন সুযোগ নাই। স্বল্প সময়ের পরিকল্পনায় এগুতে হবে। আর ফর্মটা সব সময় একরকম যায়না। তাই সবকিছু ভেবেই পরিকল্পনা করতে হবে।