এখনো শেষ হয়নি ভর্তি কার্যক্রম

চবিতে সেশন জটের শঙ্কা

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়নি। পূর্ণাঙ্গ ভর্তি শেষ না হওয়ায় প্রথমবর্ষের ক্লাসও শুরু হয়নি। যে সব শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে প্রাথমিক ভর্তি সম্পন্ন করেছে, তাদের পূর্ণাঙ্গ ভর্তি শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। ক্লাস শুরু হতে দেরি হওয়ায় সেশন জটে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অনেক বিভাগ দীর্ঘমেয়াদী জটে পড়েছে। এ রকম চলতে থাকলে সেশনজট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতেই থাকবে। তবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সশরীরেই ক্লাস হবে, নইলে অনলাইনে চলবে ক্লাস। অপরদিকে তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরও সব আসন পূর্ণ হয়নি। চারটি ইউনিট ও দুইটি উপ-ইউনিটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে এখনও ৬৭২টি আসন খালি রয়েছে। যা মোট আসনের প্রায় ১৪ শতাংশ।
জানা যায়, চারটি ইউনিট ও দুইটি উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গত বছর ২৭ অক্টোবর শুরু হয়ে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২৩ দিন পর বিষয় পছন্দক্রম নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর আগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩ দিন পরই বিষয় পছন্দক্রম নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরকম সব প্রক্রিয়াতে দেরি করেছে প্রশাসন। আইসিটি সেল সূত্রে জানা যায়, এ ইউনিটে ১ হাজার ২১২টি আসনের বিপরীতে খালি রয়েছে ২১৮ টি আসন। যা শতকরা হিসেবে ১৮ শতাংশ। বি ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে খালি রয়েছে ২৩৮ টি আসন। যা শতকরা হিসেবে ১৯ শতাংশ। সি ইউনিটে ৪৪১টি আসনের বিপরীতে খালি রয়েছে ৩৬ টি আসন। যা শতকরা হিসেবে ৮ শতাংশ। ডি ইউনিটে ১ হাজার ১৬০টি আসনের বিপরীতে খালি রয়েছে ১৫৩ টি আসন। যা শতকরা হিসেবে ১৩ শতাংশ। দুইটি উপ-ইউনিটের মধ্যে বি ১ ইউনিটে ১২৫টি আসনের বিপরীতে খালি ২৫ টি আসন। যা শতকরা হিসেবে ২০ শতাংশ। তবে ডি ১ উপ-ইউনিটে ৩০টি আসনের বিপরীতে কোন আসন খালি নেই।
আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, কোনো কিছুতে আইসিটি সেলের গাফিলতি ছিলো না। ইউনিট কো-অর্ডিনেটররা এবং কোর কমিটি যেভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, আইসিটি সেল সেটা বাস্তবায়ন করেছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিই না। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও আমাদের কাছে ডাটা আসতে দেরি হওয়ায়, ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়েছে। ডিনরা ডাটা দিতে দেরি করলে তো সেই দোষ আইসিটি সেলের না।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও এ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান আজাদীকে বলেন, এবার আমাদের বিষয় পছন্দক্রম দিতে দেরি হয়েছে। আর মাঝখানে করোনা ও বিধিনিষেধের কারণে দেরি হয়েছে। এটা আসলে কারো একার সিদ্ধান্ত না। সম্মিলিত সিদ্ধান্তে কাজগুলো হয়। তিনি বলেন, আশা করি আমরা পুষিয়ে নিতে পারবো। জটে পড়বে না। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা পেয়েছেন খালেদা
পরবর্তী নিবন্ধইউপি ভোট : সপ্তম ধাপে নৌকা ৪০, স্বতন্ত্র ৮৬