এখনো পৌঁছেনি মাধ্যমিকের প্রায় অর্ধকোটি বই

চট্টগ্রাম জেলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

নতুন বছরের ২০ দিন পার হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় অর্ধকোটি বই এখনো পৌঁছেনি চট্টগ্রামে। হিসেবে এটি মোট চাহিদার ৩১ শতাংশ। যার কারণে জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সবকয়টি বই এখনো হাতে পায়নি। চাহিদার শতভাগ বই না পাওয়ার কথা স্বীকার করে চট্টগ্রামের জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরী আজাদীকে বলেন, কিছুদিনের মধ্যে অবশিষ্ট বই পেয়ে যাবো বলে আমরা আশা করছি। এরপরও আমরা এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড)’র সাথে কথা বলবো।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে এবার মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৫টি। এর মধ্যে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১ কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৫৬১টি বই পাওয়া গেছে। হিসেবে আরো ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৪টি (প্রায় অর্ধকোটি) বই এখনো পাওয়া যায়নি। শতকরা হিসেবে এটি মোট চাহিদার ৩১.৪৭ শতাংশ। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, মাধ্যমিকের বাংলা ভার্সনে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বইয়ের মোট চাহিদা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ ২৪ হাজার ১৬৮টি। এর মধ্যে পাওয়া গেছে ৭০ লাখ ৯০ হাজার ৪৫৭টি। ইংরেজি ভার্সনে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫০টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৬ হাজার বই পাওয়া গেছে। ইবতেদায়ীর ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির বইয়ের চাহিদা ছিল ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৮টি। এর মধ্যে পাওয়া গেছে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৬৪৭টি। দাখিলের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৭টি। এর মধ্যে পাওয়া গেছে ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৫৭টি। এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ে মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ৫৭ হাজার ৫০০টি। ভোকেশনালের ৭৫ হাজার বই পাওয়া গেছে। যা চাহিদার বেশি। তবে দাখিল ভোকেশনালের ৩ হাজার ২০০টি এবং কারিগরি ট্রেড-এর ৩৯ হাজার ২৯২টি বইয়ের চাহিদা থাকলেও এখনো পর্যন্ত একটি বইও পাওয়া যায়নি। সবমিলিয়ে জেলায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৫টি বইয়ের চাহিদার মধ্য থেকে ১ কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৫৬১টি বই পাওয়া গেছে। হিসেবে আরো প্রায় অর্ধকোটি (৪৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৪টি) বই অদ্যবধি পাওয়া যায়নি। আর প্রাপ্ত বইগুলো এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরী বলছেন, বই প্রাপ্তির চিত্র একেক উপজেলায় একেক রকম। জেলার ২০টি থানা-উপজেলার কোথাও ৭০ থেকে ৮০ ভাগ, কোথাও ৯০ ভাগ, আবার কোথাও শতভাগের কাছাকাছি বই পাওয়া গেছে। কোথাও আবার ৬০ ভাগের কিছু বেশি। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত বইয়ের সবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে অবশিষ্ট বইগুলো পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদায়িত্ব পালন করবেন ২০ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
পরবর্তী নিবন্ধআসামির ছবি তোলা নিয়ে আইনজীবী পুলিশ হট্টগোল