আইপিএলের ১৪ আসরের দশটিতেই ফাইনাল খেলেছে তার দল। চারবার জিতেছে শিরোপা। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে একটা প্রশ্ন তার পেছনে সব সময় লেগেই থাকতো। তা হচ্ছে কবে অবসরে যাচ্ছেন। সেটা জাতীয় দল হোক আর ক্লাব দল। শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছেন ধোনি। এবার ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে উঠছে সে একই প্রশ্ন। গত মঙ্গলবার রাতে গুজরাটকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠে এবারই কি শেষ ? ধোনির উত্তরটা অবশ্য আগের মতোই রইল। আমি জানি না। কিছুদিন পরই তার বয়স হবে ৪২। যদিও ব্যাট হাতে গত দুই বারের হতাশা পেছনে ফেলে এবারের আইপিএলে নতুন ভুমিকায় নিজেকে নতুন ভাবে মেলে ধরেছেন তিনি। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত রান তোলার দায়িত্বে যে তিনি সফল, তা বলে দিচ্ছে ১৮৫.৭২ স্ট্রাইক রেটই।
নেতৃত্বেতো তার জুড়ি নেই কখনোই। এবারও অধিনায়কত্বে যথারীতি ছাপ রেখেছেন দারুণভাবে। চেন্নাইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৭২ রানের পুঁজি নিয়েও চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ১৫ রানের জয়ে দারুন প্রশংসিত হচ্ছে ধোনির অধিনায়কত্ব। তবে এবারের আসরে নানা সময়েই শোনা গেছে ধোনির বিদায়ের রাগিনী বেজে ওঠার সুর। ম্যাচের পর ম্যাচ ধোনির জার্সি পরে মাঠে এসেছেন অনেক দর্শক। ধোনির প্রতি সম্মান, ভালোবাসা জানানো ব্যানার, প্ল্যাকার্ডের অভাব ছিল না। অবসর না নেওয়ার অনুরোধ–আকুতিও ছিল সেসব ব্যানারে। ফাইনাল নিশ্চিত করার পর ধোনির দিকে প্রশ্ন ছুটে গেল, চেন্নাইয়ের দর্শকরা কি আগামী আইপিএলেও দেখতে পাবেন ধোনিকে ? উত্তরে ধোঁয়াশা রেখেই দিলেন এমএস।
আমি জানি না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তো আরও ৮–৯ মাস সময় পড়ে আছে। ডিসেম্বরের দিকে ছোট একটি নিলামও হয়তো হবে। তাই এখনই কেন মাথা ঘামাব? সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এখনও অনেক সময় আছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার ফিটনেস নিয়ে শঙ্কাও আছে। এবার গৌটা মৌসুমেই তাকে বেশ ভুগিয়েছে হাঁটুর ইনজুরি। এজন্য রানিং বিটুউন দ্যা উইকেটে তার সমস্যা ছিল। চেন্নাইয়ের জন্য এভাবে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চান তিনি সামনেও। তবে শরীর ও মনের ওপর দিয়ে ধকল যে অনেক যায়, সেটিও তিনি তুলে ধরলেন। চেন্নাইয়ের জন্য আমি সবসময়ই থাকব । সেটা খেলোয়াড় হিসেবে হোক বা মাঠের বাইরে যে কোনো ভূমিকায় বসে থেকে হোক। তবে আমি জানি না এখনও। সত্যি বলতে ধকল যায় অনেক। গত চার মাস ধরে আমি বাড়ির বাইরে। গত ৩১ জানুয়ারি বাড়ি ছেড়েছি। কাজ শেষ করেছি। এরপর ২ বা ৩ মার্চ থেকে অনুশীলন শুরু করেছি। অনেক ধকল তাই যায়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় অনেক আছে।












