আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া দুই বোয়িংয়ের নভোচারী এখনও পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেননি। বোয়িংয়ের ‘স্টারলাইনার ক্যাপসুল’ পরীক্ষার অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ দিন আগে মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন এই দুইজন। তবে উৎক্ষেপণের আগে ও পরে উভয় সময়েই মহাকাশযানটি সমস্যার মধ্যে পড়েছিল। তারপর থেকে মহাকাশযানটি তৈরি বা উৎক্ষেপণে কী ভুল হয়েছে তা বুঝে ওঠা না পযন্ত এটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে প্রকৌশলীরা বারবার দেরি করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। সেই কাজটি এখনও শেষ হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থাটি নভোচারীদের ফিরে আসার জন্য কোনও নির্দিষ্ট তারিখ দিতে পারছে না বলে বুধবার এক আপডেটে জানিয়েছে নাসা। খবর বিডিনিউজের।
প্রায় এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথের ল্যাবটি পরিদর্শন করার কথা ছিল টেস্ট পাইলট বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামসের। এমনকি জুনের মাঝামাঝি সময়ে ফিরে আসার কথাও ছিল তাদের। তবে বোয়িংয়ের নতুন ‘স্টারলাইনার’ ক্যাপসুলে থ্রাস্টার ব্যর্থতা ও হিলিয়াম লিক হওয়ার কারণে নভোচারীদের আরও বেশি সময় ধরে সেখানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা ও বোয়িং। নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ বলেন, এ মিশনের ম্যানেজাররা ফেরার তারিখ ঘোষণা করতে এখনই প্রস্তুত নন।
উইলমোর ও উইলিয়ামসকে স্টারলাইনারে ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য জানিয়ে স্টিচ বলেন, আমরা তখনই বাড়ি ফিরব যখন আমরা ফেরার জন্য প্রস্তুত হব। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, অন্যান্য বিকল্পও বিবেচনা করছে নাসা, যার মধ্যে থাকতে পারে এই জুটিকে অন্য মহাকাশযানে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি।শুরুতে নাসা বলেছিল ৪৫ দিন কক্ষপথে অবস্থানের জন্য নিরাপদ হবে মহাকাশযানটি। তবে এখন নভোচারীরা ৪৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে রয়েছেন। সেই সময় নাসা এও বলেছে, এর দ্বিগুণ সময় ধরে সেখানে থাকাও নভোচারীদের জন্য সম্ভব হবে। পাশাপাশি মহাকাশযানটি যখন পুরোপুরি ব্যবহারে জন্য প্রস্তত হবে তখন সেটিতে ২১ দিন পর্যন্ত থাকা যাবে।