এখনই কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হচ্ছে না। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদে ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল) পানি ধারণ করার সক্ষমতা রয়েছে; আপাতত হ্রদে পানি আছে ১০৩ দশমিক এমএসএল। এতে করে এখনই কাপ্তাই হ্রদের পানি কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে ছাড়া বা নির্গম করা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ২টায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে হ্রদে পানি আছে ১০৪ এমএসএল। এখনো পানি ধারণা ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। এখনো পানি ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, ষাটের দশকে প্রমত্তা কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে গড়ে তোলা হয় কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাঁধ দেওয়ার ফলে যে কৃত্রিম জলাধার তৈরি হয়; তাকে বলা হয় কাপ্তাই হ্রদ। কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে কাপ্তাই হ্রদে।
কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি জলকপাট বা স্লুইসগেট রয়েছে।এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন করতে পারে। হ্রদে ১০৯ এমএসএলের অধিক পানি পূর্ণ হলে জলকপাট দিয়ে পানি নির্গমন করা হয়।