নগরের বিভিন্ন খালের দুই পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের সময় রাস্তা করা হয়েছে। সে রাস্তার মাটিগুলো এখনো স্তূপাকারে পড়ে আছে। মাটিগুলো খাল থেকে সরানো না গেলে চলতি বর্ষায় জলজট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার নগরের ডোম খাল ও নয়াখালে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের বাঁধ অপসারণ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন বলে চসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
মেয়র আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে। তবে এখন প্রয়োজন চলতি বর্ষা মৌসুমে জলজটের ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেয়া। সেজন্য খালগুলোর উপর অস্থায়ীভাবে যে বাঁধ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ কোনো সহযোগিতা চাইলে চসিক তাতে এগিয়ে আসবে।
মেয়র আরো বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ রুটিন কাজের পাশাপাশি ক্রাশ প্রোগ্রামের পরিচালনা করছে। প্রবল বর্ষণে যেখানে জলজট হচ্ছে সে স্থানগুলো চিহ্নিত করে পানি চলাচলের পথ সুগম করা হচ্ছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া আছে পরিস্থিতি অবলোকন করে যেখানে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা যেন নেয়া হয়।
মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য সভ্যতার অভিশাপ। নগরীর খাল, ছোট-বড় নালায় পলিথিনের স্তুপ এখনো পড়ে আছে। এই পলিথিন স্তুপ পানি নিষ্কাশনের জন্য বড় প্রতিবন্ধক। তাই এ বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে এবং নিজের গৃহস্থালী বর্জ্য ও পলিথিন সামগ্রী নির্দিস্ট স্থানে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলী ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।