কক্সবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং টিকিট কেলেংকারীর ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু’টি মামলায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় ১ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ। জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানান, খেলাকে কেন্দ্র করে স্টেডিয়ামে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ও টিকিট কেলেংকারীর ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় টিকিটের ইজারাদার ইব্রাহিম বাবু ও শাফায়াত হোসাইন মুন্নার নাম উল্লেখ করে ৫০০/৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। অপরদিকে, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত ফারুক হোসেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুদ্দিন শাহীন বলেন, লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছে খেলায়। হঠাৎ এমন একটি ঘটনা সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ প্রস্তুতি ছিলো না পুলিশের। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও আনসার সদস্যরা ছিলেন। এই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এতকিছুর পরও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ধৈর্যের সাথে ঘটনা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের প্রতি নির্দেশনা ছিলো যাতে কোনো ধরনের প্রাণঘাতির ঘটনা না ঘটে। এ ঘটনায় উস্কানিদাতা, সুবিধাবাদীদের ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করে সবাইকে কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি টিকিট কেলেঙ্কারির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্ত শেষে জানা যাবে কারা এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উচ্ছৃঙ্খল দর্শকদের তাণ্ডবে পণ্ড হয়। এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, গ্যালারিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিকসহ অর্ধশত আহত হয়।












