এক হাজার খামারে আছে ৪২ হাজার পশু

কর্ণফুলী-পটিয়া

পটিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৫ জুলাই, ২০২২ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলীপটিয়ায় প্রায় এক হাজার খামারে কোরবানি উপলক্ষে ৪২ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকার উপরে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও খামারিরা তাদের খামারে কোরবানি উপলক্ষে এসব পশু প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলায় ৯২৭টি দুগ্ধ খামার ও ২২৬টি খামারে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। একই উপায়ে পটিয়ায় ২৫০টি দুগ্ধ খামার ও শতাধিক খামারে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে বলে দুই উপজেলার ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়।

কর্ণফুলী উপজেলার খামারগুলোতে সাড়ে ১২ হাজারের অধিক ষাড়, বলদ, বকনা, মহিষ ও গাভী গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুুত রয়েছে। অপর দিকে পটিয়ায় ৩২ হাজার নয়শত তেষট্টিটি ষাড়, ১১ হাজার দুশত ছয়ত্রিশটি বলদ, বকনা ও গাভী ১০ হাজার, মহিষ ৪ হাজার দুইশত পয়ষট্টিটি, ছাগল ১৪ হাজার দুইশত ঊনপঞ্চাশ এবং ৫ হাজার দুইশত ঊনপঞ্চাশটি ভেড়া প্রস্তুুত রয়েছে বলে পটিয়া ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাসেল জানান।

তিনি আরো বলেন, এসব তথ্য আমরা উপজেলা ডেইরি ফার্ম নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা সরকারি পশু হাসপাতালের সহায়তায় তৈরি করেছি। এর বাইরেও আরো অনেক পশু প্রস্তুুত করা হয়েছে।

অনেক মৌসুমী খামারী গত ৪৫ মাস ধরে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ষাড় ও বলদ গরু সংগ্রহ করে কোরবানির বাজার লক্ষ্য করে মোটাতাজা করণ প্রক্রিয়া শুরু করে।

আজিজ ডেইরি ফার্মের মালিক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ৭৮ বছর যাবত ডেইরি ফার্মের ব্যবসা করে আসছি। আট বছর পূর্বে ৩৪টি গরু দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে আমার ফার্মে একশত গরু

রয়েছে। এর মধ্যে ষাড়ের সংখ্যা ৬৫টি। আমার খামারের ৬৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দামেরও ষাড় রয়েছে।

এদিকে কর্ণফুলী ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাজিম নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, এখন গোখাদ্যের প্রচুর দাম। চোরাই পথে ভারত ও মায়ানমার থেকে গরু এলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। উৎসাহ হারাবে। যার কারণে গত বছরও অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছে। তার জন্য চোরাই পথে গরু আমদানি বন্ধ করতে হবে। এতে দেশীয় শিল্প লাভজনক ও খামারিরা লাভবান হলে তারা উৎসাহিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসওজের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
পরবর্তী নিবন্ধপুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু