নগরীর ওয়াসা মোড়ের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে প্রতিবারের ন্যায় এবারও সর্বস্তরের মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম রমজান থেকে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষ এক কাতারে বসে ইফতার করছেন। মসজিদ প্রাঙ্গণেই আটজন বাবুর্চি দিয়ে সকাল আটটা থেকে শুরু হয় ইফতার তৈরির কার্যক্রম। ধারণা করা হচ্ছে, ২০ রোজার পর থেকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ এ পৌঁছাবে। গতকাল বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইফতার তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সেবকরা তালায় তালায় ইফতার সাজাচ্ছেন।
ইফতার আইটেমের মধ্যে রয়েছে– ছোলা, পিয়াজু, মুড়ি, বেগুনি, জিলাপি, সিঙ্গারা, পুরি, সমুচা, খেজুর, সরবত ও সেমাই। রিকশা চালক থেকে শুরু করে আশেপাশের নানা কাজে যুক্ত খেটে খাওয়া মানুষ, নিয়মিত মুসল্লিসহ ধনী–গরীব সর্বস্তরের মানুষ পাশাপাশি বসে ইফতার করেন জানিয়ে মসজিদের একাউন্টেন্ট মো. ইলিয়াস মিয়া গতকাল আজাদীকে বলেন, ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, জিলাপি, খেজুর, সরবত ও সেমাই প্রতিদিন থাকছে। কোনদিন সিঙ্গারা আবার কোনদিন পুরি বা সমুচাও রাখা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মরহুম হাজী মো. ইয়াকুব আলী কন্ট্রাক্টর পরিবার এবং বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন বলেও জানান মো. ইলিয়াস মিয়া। তিনি বলেন, মসজিদের পাশে ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। ইফতারের সময় হলে সেখানের শ্রমিকরাও আমাদের আয়োজনে শরিক হন। এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। ধনী–গরিব একসাথে বসেই ইফতার করেন। একটি তালায় চারজন করে বসেন। মো. ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, ১৯৭৬ সালে জায়গা প্রাপ্তি এবং ১৯৮৭ সালে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৮ সাল থেকে মসজিদে মূলত তৎকালিন খতিব আল্লামা জালাল উদ্দিন আল কাদেরীর (রা.) হাত ধরেই মসজিদে ইফতার আয়োজনের যাত্রা হয়। তিনি ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও আয়োজন হয়েছে। এটি চলমান থাকবে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইফতারের আগে ইসলাম, নামাজ, রোজা সম্পর্কে বয়ান দেন ইমাম। এরপর মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া করা হয়।