এক সপ্তাহে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমল ৬০ টাকা পর্যন্ত

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ

জাহেদুল কবির | মঙ্গলবার , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

চাক্তাই খাতুনগঞ্জে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। দেশি নতুন পেঁয়াজ এবং ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার কারণে বড় দরপতন হয়েছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানির খবরে দাম কমতে থাকে। চাক্তাইখাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, গত কয়েকদিন পেঁয়াজের সরবরাহ আরো বেড়েছে। ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ। ফলে পেঁয়াজের দামেও প্রভাব পড়ছে।

গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে মানভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এদিকে পাইকারীতে দাম কমলেও খুচরায় এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখন তাদের কাছে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো বেশি দামে কেনা। তাই দাম কমিয়ে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।

পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না।

জানা গেছে, আমাদের দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে আগে ৭ মাসের মতো জোগান দেওয়া যেত। বর্তমানে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে। বলা যায়, এ বছরের পুরোটাই দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল ছিল দেশের মানুষ। বাজারে সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক। এ কারণে দাম বাড়েনি। এরই মধ্যে দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কৃষকরা ক্ষেত থেকে তুলতে শুরু করেছে। কিছু কিছু পেঁয়াজ বাজারে আসছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ দ্বিগুণ বেড়েছে। তাই দামও কমছে। বিশেষ করে ভারতীয় পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় কৃষকের ঘরে নতুন পেঁয়াজ উঠেছে। তাই এখন আর দাম বাড়ার আশঙ্কা নাই। ভোক্তারা বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেন। দেশে পেঁয়াজের উচ্চ ফলনের দাম সেভাবে কমেনি। এখন যে মাত্র ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি হচ্ছে, সাথে সাথে ব্যবসায়ীরাও এখন তড়িঘড়ি করে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্মাণাধীন সদরদপ্তরে অফিস করলেন সিএমপি কমিশনার
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা