টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বের ২ নং গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে জিম্বাবুয়ে। যদিও তাদের পয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার সমান। কারণ প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছিল। তবে গতকাল শ্বাসরূদ্ধকর একটি জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে ফেবারিট পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও পাকিস্তান হেরেছে শেষ বলে। তবে এবার নিজেরা শেষে ব্যাট করে। শেষ বলে এসে পাকিস্তান হারলো মাত্র ১ রানের ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে ১৩০ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থামতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে শুরুটা একেবারে মন্দ করেনি। ৫ ওভারে ৪২ রান তুলে নিয়েছিল উদ্বোধনী জুটিতে। ১৯ রান করা অধিনায়ক এরভিন ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। এরপর মোহাম্মদ ওয়াসিমের পেস ও সাদাব খানের স্পিনের সামনে পড়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামসের ২৮ বলে ৩১ রান না হলে বড় লজ্জায় পড়তে হতো জিম্বাবুয়েকে। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানে জিম্বাবুয়েকে আটকে দিয়েছিল পাকিস্তান। শুরুতে মাধবিরি ১৭ ও শেষ দিকে ব্রাড ইভান্সের ১৫ বলে ১৯ রান করতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানী বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিম ২৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক সময় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তোলেছিলেন ওয়াসিম। সাদাব খানের শিকার ৩টি উইকেট।
১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই পাকিস্তানকে চেপে ধরে জিম্বাবুয়ে বোলাররা। প্রথম ম্যাচের মত টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। রিজওয়ান ১৪ রানে ও বাবর আজম ফিরেন ৪ রান করে। শান মাসুদ প্রতিরোধ গড়ে তুললেও অপর প্রান্তে কেউ তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেনি।
দলকে ৯৪ রানে রেখে ষষ্ট উইকেট হিসেবে ফিরেন শান মাসুদ। ফিরে আসার আগে ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন মাসুদ। শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এদুজনই যেন ম্যাচটা হারিয়ে দিয়ে আসেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। উইকেটে তখন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। জিম্বাবুয়ের বোলার ব্রাড ইভান্স। প্রথম দুই বলেই ৭ রান নিয়ে নেন নেওয়াজ ও ওয়াসিম। শেষ ৪ বলে প্রয়োজন মাত্র ৪ রান। তৃতীয় বলেও নিলো ১ রান। ৩ বলে ৩ রান। মোহাম্মদ নেওয়াজ উইকেটে থাকার পরও চতুর্থ বলটি হলো ডট। রান নিতে পারলো না। ২ বলে প্রয়োজন ৩ রান। পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন নেওয়াজ। তিনি ফিরেন ১৮ বলে ২২ রান করে। শেষ বলে প্রয়োজন ৩ রান। কিন্তু দৌঁড়ে ১ রান করার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়েই রানআউট হয়ে গেলেন শাহিন। ১ রানে জয় পেয়ে উল্লাসে মাতে জিম্বাবুয়ে।