এক ম্যাচ নিষিদ্ধ মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ at ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে এই শাস্তি পান তিনি। একইসঙ্গে জরিমানা গুনেন তার সতীর্থ ইবাদত হোসেন চৌধুরি। মিরপুর শেরই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার আবাহনী লিমিটেডের ব্যাটিংয়ের সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ইবাদত ও হৃদয়। পরে আনুষ্ঠানিক শুনানিতে দুজনের শাস্তির সিদ্ধান্ত জানান ম্যাচ রেফারি নেয়ামুর রশিদ রাহুল। ‘টুর্নামেন্টের আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ইবাদত হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও এর সঙ্গে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাওহিদ হৃদয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্রিকেটার ও মোহামেডানের পক্ষ থেকে শাস্তি কমানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাই জরিমানার অর্থ মওকুফ করা হয়েছে। তবে পরের ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে।’

নিষিদ্ধ হওয়ায় সুপার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারবেন না হৃদয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে তাই নতুন অধিনায়ক নিয়ে খেলতে হবে মোহামেডানের। ঘটনার সূত্রপাত আবাহনীর ইনিংসের অষ্টম ওভারে। ইবাদতের প্রথম বল ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন মিঠুন। জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে তীব্র রাগে ফেটে পড়েন ইবাদত। নিজের হাতে সোয়েট ব্যান্ড খুলে প্রবল আক্রোশে ছুড়ে মারেন মাটিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন লেগ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। মোহামেডানের ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে পুনরায় খেলা শুরুর ইঙ্গিত দেন আইসিসি এলিট প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার।

ঠিক তখনই আবার রেগে উঠতে দেখা যায় হৃদয়কে। এসময় আঙুল উঁচিয়ে শরফুদ্দৌলাকে কিছু একটা বলতে থাকেন তিনি। এগিয়ে এসে তাকে সরিয়ে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ারকে জড়িয়ে ধরে সরিয়ে নেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে থাকা আবাহনী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও জাতীয় দলের সতীর্থ হৃদয়কে শান্ত করার চেষ্টা করেন। হৃদয় ও শরফুদ্দৌলার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে খেলা শুরু হতে আরও কিছুটা সময় লেগে যায়। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ইবাদতের ওই বলে ‘ইমপ্যাক্ট’ অফ স্টাম্পের বাইরে। পুনরায় খেলা শুরু হলে পরের ডেলিভারি ওয়াইড করেন ইবাদত। বল গ্লাভসে নিয়েই থ্রো করে বসেন মাহিদুল ইসলাম। যা অল্পের জন্য মিঠুনের গায়ে লাগেনি। এটি নিয়ে আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেন আবাহনীর কিপারব্যাটসম্যান। ইবাদতের ওই ওভারের আগে মিরাজের বলে শান্তর একটি এলবিডব্লিউর আবেদনেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। সেটি নিয়েও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান মোহামেডানের ক্রিকেটাররা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপারিবারিক আদালতকে অন্য মামলা নিষ্পত্তির কাজে লাগানোর চিন্তা করছে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধবসুন্ধরা কিংসকে আবার হারালো মোহামেডান