এক ম্যাচে বাবর আজমের রেকর্ডের ঢালি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১০ জুন, ২০২২ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে নামার আগেই বাবর আজমের সামনে হাতছানি দিচ্ছিল অনেক গুলো রেকর্ড। আর নেমেই সে সব রেকর্ড নিজের করে নিলেন বাবর। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে দুইবার সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। বুধবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৭ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন বাবর। তার সেঞ্চুরির সুবাদে ৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই সেঞ্চুরির আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বাবর। সে দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৩ বলে ১১৪ এবং ১১৫ বলে ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস।

আর এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে তুলে নিয়েছেন হ্যাটট্রিক। এর আগে ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তিন ম্যাচে যথাক্রমে ১২০, ১২৩ ও ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাবর। বাবরের আগে বিশ্বের আর কোনো ব্যাটার ওয়ানডেতে দুইবার সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। একবার করে করেছেন সবমিলিয়ে ১১ জন ব্যাটার। তবে টানা চার ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে কুমার সাঙ্গাকারার। সেটি ভাঙার সুযোগ থাকছে বাবরের সামনে। শেষ পাঁচ ম্যাচ হিসেব করলে অল্পের জন্য সাঙ্গাকারার রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি বাবর। এই পাঁচ ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন বাবর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৮ রান দিয়ে শুরু। মাঝে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচে করেছিলেন ৫৭, ১১৪ ও ১০৫* রান। রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় নতুন আরো একটি রেকর্ড গড়লেন বাবর আজম।

ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম এক হাজার রানের রেকর্ড এখন তার। পাকিস্তান অধিনায়ক ভেঙে দিলেন বিরাট কোহলির রেকর্ড। অধিনায়ক হিসেবে হাজার রান পূর্ণ করতে বাবরের প্রয়োজন ছিল ৯৮ রান। ৯৬ থেকে চার মেরে সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। হাজার রানের মাইলফলকে যেতে অধিনায়ক বাবরের লাগল মাত্র ১৩ ইনিংস। সাবেক ভারত অধিনায়ক কোহলির লেগেছিল ১৭ ইনিংস। এবি ডি ভিলিয়ার্সের লেগেছিল ১৮ ইনিংস, কেন উইলিয়ামসন খেলেছিলেন ২০ ইনিংস এবং অ্যালেস্টার কুকের ২১ ইনিংস লেগেছিল। অধিনায়ক হিসেবে ১৩ ম্যাচে বাবরের সেঞ্চুরিই ৬টি। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ১৭টি। পাকিস্তানীদের মধ্যে সামনে কেবল সাঈদ আনোয়ার। তার সেঞ্চুরি ২০টি। বাবর সহসাই তাকেও ছাড়িয়ে যাবেন তেমনটি আশা করাই যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবরাদ্দ বেড়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের
পরবর্তী নিবন্ধটিভি সিরিজে লিওনেল মেসি