এক মিলিমিটারের কম বৃষ্টিতেও জলযট

সড়কে হাঁটু সমান পানি, নগরবাসীর দুর্ভোগ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৫ জুন, ২০২২ at ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

গ্রীষ্মের শেষ দিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার। এদিন সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘহীন। তবে দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে পাল্টে যায় প্রকৃতি। নীল আকাশে জমতে থাকে ঘন কালো মেঘের ভেলা। বিকেল সাড়ে ৩টার পর তীব্র বাতাসসহ শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় আধ ঘণ্টা স্থায়ী এ বৃষ্টিতে জলযট সৃষ্টি হয় শহরের নিচু এলাকায়। প্রধান সড়কেও ছিল হাঁটু সমান পানি। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কন্ট্রোল রুমের পূর্বাভাস কর্মকর্তা দৈনিক আজাদীকে জানান, গতকাল বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক মিলিমিটারেরও কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এ অল্প বৃষ্টিতেও জলযটের ভোগান্তি হওয়ায় নগরে চলমান ১০ হাজার কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে।
অবশ্য গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে নগরে। বিষয়টি নিশ্চত করে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চাঙ্গ্যা জানান, আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে যা দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে টানা কয়েকদিন ধরে অস্বস্তির চরম গরমের পর গতকালের বৃষ্টি নাগরিক জীবনে নিয়ে আসে স্বস্তি। কিন্তু স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে নাগরিক জীবনে জেঁকে বসে আরেক অনুষঙ্গ দুর্ভোগ। বৃষ্টির জন্য সৃষ্ট জলযট যানজট ছিল এই দুর্ভোগের অন্যতম কারণ। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, দক্ষিণ কাট্টলী, চকবাজার, কাপাসগোলা, আবদুল হাকিম শাহ লেইন, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন নিচু এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়। স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম বাকলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক কলেজ হাসপাতালের মাঠজুড়ে ছিল হাঁটুর বেশি পানি। আরেকটু বৃষ্টি হলেই স্কুলে পানি ঢুকে যাওয়ার শঙ্কার কথা জানান প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হামিদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুরু হলো প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি
পরবর্তী নিবন্ধঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাড়তি প্রস্তুতি