সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’ মামলায় এক মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ধার্য দিন গতকাল বুধবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে হাজিরা দেন হিরো আলম। এদিন হিরো আলমের স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী শান্তা সাকসিনা। তবে আদালত স্থায়ী জামিন না দিয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। ওইদিন প্রতিবেদন দাখিলের আদেশও দিয়েছেন বিচারক। হিরো আলমের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর বিডিনিউজের।
মামলায় বলা হয়, মনোমালিন্য থেকে স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন হিরো আলম। এরপর মীমাংসার কথা বলে গত ২১ জুন হাতিরঝিল এলাকায় এক বাসায় তাকে ডেকে নেন। এজাহারে বলা হয়, ওইদিন রিয়া মনি তার পরিবার নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হিরো আলমসহ অচেনা ১০ থেকে ১২ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে রিয়া মনির হাতিরঝিলের বাসায় প্রবেশ করে তাকে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করে হিরোসহ ১০–১২ জন। এ সময় রিয়া মনির গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন কৌশলে নিয়ে যায় আসামিরা।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় এ মামলা করেন রিয়া মনি। মামলা হওয়ার পরপর বগুড়ার ধুনটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন হিরো আলম। ২৭ জুন দুপুরে প্রথমে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে সেদিনই হিরো আলমকে দেখতে ঢাকা থেকে ছুটে যান রিয়া মনি।
হিরো আলমের পাশাপাশি তার ‘সহযোগী’ আহসান হাবিব সেলিমকে এ মামলায় আসামি করা হয়। তারা দুজনই জামিনে ছিলেন। কিন্তু ঠিকমতো আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় জামিনের শর্ত ভঙ্গের কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর গত ১৫ নভেম্বর হিরো আলমকে হাতিরঝিলের উলন এলাকায় তার অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।












