এক বছর পর প্রথম রায় আসছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে

| বুধবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকার নয় আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় জানা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার মতো অপরাধের চারটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এ আসামির বিরুদ্ধে। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করে দেয়। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে গত বছর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলার রায় দিতে পারেনি ট্রাইব্যুনাল। খবর বিডিনিউজের।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, গত বছরের শুরুর দিকে এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল ট্রাইব্যুনাল। পরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং আরও কিছু সমস্যার কারণে রায় ঘোষণা করা যায়নি। আজ ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়ে বলেছে, বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
২০১৮ সালের ৪ মার্চ এ মামলায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেছিল ট্রাইব্যুনাল। বিচার চলা অবস্থায় গ্রেপ্তার ও পলাতক দুজনের মৃত্যু হলে এখন আসামি আছেন ৯ জন। এই ৯ জনের মধ্যে মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী ও আব্দুল লতিফ কারাগারে আছেন। আর এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান পলাতক। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিচার চলাকালে মারা যান। পলাতক অবস্থায় মারা যান আসামি নুরুল আমিন শাজাহান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ার স্টেশন মাস্টারকে শোকজ, সহকারী সাসপেন্ড
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক ছাত্রলীগ নেতার অফিস ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ